সুন্দরবনমুখী লংমার্চ শুরু

রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে সুন্দরবন অভিমুখে লংমার্চ শুরু করেছে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Sept 2013, 07:07 AM
Updated : 24 Sept 2013, 07:11 PM

মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সংক্ষিপ্ত  সমাবেশ শেষে লংমার্চ শুরু হয়।  জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা ঘোষণা করেন।

বেলা ১১টার দিকে প্রায় আড়াই হাজার মানুষের এই মিছিল প্রেসক্লাব থেকে মৎস্য ভবন, শাহবাগ, আসাদগেট  হয়ে শ্যামলীর উদ্দেশে এগিয়ে যায়।

সেখান থেকে বাসে উঠে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যাত্রাবিরতির পর সাভারের রানা প্লাজার সামনে সমাবেশ করে তারা। সেখান থেকে মানিকগঞ্জে গিয়ে সমাবেশ শেষে দিনের যাত্রা শেষ হয়। বুধবার আবার রওনা হবে লংমার্চ।

প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ বলেন, সুন্দরবন রক্ষার জন্য যে কোনো মূল্যে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করা হবে।

তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে তারা এই লংমার্চ শেষ করতে চান।

এই কর্মসূচিতে বাধা না দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, গণসংহতির সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি, অধ্যাপক এমএম আকাশ, কলামনিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদসহ বিভিন্ন বামপন্থী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে সকাল থেকেই লংমার্চের সমর্থনে  সিপিবি, বাসদ, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল, গণফ্রন্ট, নয়া গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা, ছাত্র ইউনিয়ন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীসহ বিভিন্ন ছাত্র-যুব সংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যানার-প্লাকার্ড হাতে মিছিল নিয়ে  প্রেসক্লাবের সামনে সমবেত হন।

২৫ সেপ্টেম্বর সকালে মানিকগঞ্জ থেকে যাত্রা শুরুর পর পাটুরিয়াঘাট-গোয়ালন্দ, রাজবাড়ীতে জনসভা এবং বিকেলে ফরিদপুরে জনসভা ও রাত যাপনের কথা রয়েছে আন্দোলনকারীদের।

২৬ সেপ্টেম্বর ফরিদপুর থেকে মধুখালী- কামারখালী- মাগুরা হয়ে ঝিনাইদহে জনসভা, বিকেলে কালিগঞ্জ হয়ে যশোরে জনসভা  ও রাত কাটাবেন তারা।

২৭ সেপ্টেম্বর যশোর থেকে নওয়াপাড়া হয়ে ফুলতলায় জনসভা, ফুলবাড়ী গেট- দৌলতপুর-খালিশপুর হয়ে বিকেলে খুলনা হাদিস পার্কে জনসভা করবেন লংমার্চকারীরা।

সেখানেই রাত যাপন করে পরদিন ২৮ মার্চ লংমার্চের শেষ দিন সকালে বাগেরহাট শহরে পৌঁছাবেন তারা। সেখানেও একটি সমাবেশ হবে।

দুপুরে মংলা উপজেলার দিগরাজ এলাকায় সমাপনী সমাবেশ ও লংমার্চের ঘোষণাপত্র পাঠ করার কথা রয়েছে।

এদিকে লংমার্চের সমর্থনে বাগেরহাটে প্রতিদিনই বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের পক্ষে জনমত তৈরিতে দেয়াল লিখন, আলোচনা সভা, মানববন্ধন, পোস্টারিং, প্রচারপত্র বিতরণ, বিলবোর্ড স্থাপনসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।