ঐশীর বন্ধু জনি গ্রেপ্তার, রিমান্ডে

বাবা-মা হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে গ্রেপ্তার ঐশী রহমানের বন্ধু আসাদুজ্জামান জনিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Sept 2013, 04:51 AM
Updated : 19 Sept 2013, 10:37 AM

জনি (২৭) হত্যাকাণ্ডের পর ঐশীকে বিদেশি পালিয়ে যেতে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বলে পুলিশ দাবি করেছে।

বুধবার রাতে গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার জনিকে আদালতের অনুমতি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের হেফাজতে নিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।

হত্যাকাণ্ডের পর গত ১৮ অগাস্ট ঐশী পুলিশের কাছে ধরা দেয়ার পর তার বন্ধু মিজানুর রহমান রনি ও জনিকে নিয়ে সন্দেহের কথা পুলিশ জানিয়েছিল।

রনিকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার রাতে জনিকে রাজধানীর বাড্ডা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান।

গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “ঐশীর বাবা-মা মারা যাওয়ার পর তাকে দেশের বাইরে পালিয়ে যেতে সাহায্য করবে বলে আশ্বস্ত করেছিল জনি।”

তিনি বলেন, নিজেকে নৃত্য পরিচালক হিসেবে পরিচয় দিয়ে জনি বিভিন্ন নারীকে দেশের বাইরে পাঠানোর কথা বলে প্রতারণা করতেন।

গত ১৬ অগাস্ট সন্ধ্যায় ঢাকার চামেলীবাগে নিজেদের ফ্ল্যাটে পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না বেগমের ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়।

দুই সন্তান এবং শিশু গৃহকর্মী খাদিজা খাতুন সুমিকে নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন তারা।

নিহত স্বপ্না বেগম ও তার স্বামী মাহফুজুর রহমান

পুলিশ বলছে, কিশোরী মেয়ে ঐশী ঘুমের ওষুধ খাইয়ে একাই বাবা-মাকে হত্যা করে।  

মনিরুল বৃহস্পতিবারও বলেন, হত্যাকাণ্ডে ঐশী ছাড়া কারো সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ মেলেনি।

“তাই জনিকে ঐশীর আশ্রয়দাতা বলা যেতে পারে।”

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন হেফাজতের আবেদন জানিয়ে জনিকে আদালতে পাঠানো হবে বলে পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল জানান।

মাদক কেনা-বেচায়ও জনির সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরের পর জনিকে ১০ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে ঢাকার হাকিম আদালতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আবু আল খায়ের।

তিনি বলেন, “ঐশীকে দুবাই পালিয়ে যেতে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছিল জনি। সে এই হত্যাকাণ্ডের বিষয় জানে। তাই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন।”

শুনানি শেষে মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর পাঁচ দিন হেফাজতের আদেশ দেন।

আদালতে জনির পক্ষে কোনো জামিনের আবেদন হয়নি।