শনিবার সকালে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলে হাই কোর্টের রায়ে ভোটের রাজনীতি ও জোটে কোনো প্রভাব পড়বে না। আমাদের মধ্যে ঐক্য ছিলো, আছে ও ভবিষ্যতে থাকবে।”
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সম্মেলন কক্ষে ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট-ইউডিএফের উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের ভাবী রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী ও তার ছেলের কটূক্তির প্রতিবাদ’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।
একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধীতাকারী দল জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের পর বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়া হয়নি।
দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা নিশ্চুপ ছিলেন। একদিন পর দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এক আলোচনা সভায় জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলে হাই কোর্টের রায় নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া না জানালেও তিনি বলেন, বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধকে সমর্থন করে না।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে হাই কোর্ট।
নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী অংশ নেয়ার সুযোগ পাবে- এমন আশা প্রকাশ করে সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ বলেন, “হাই কোর্ট তার রায়ের সার্টিফিকেট দিয়েছে। এরপর পর ওই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল হয়েছে। সার্টিফাইড করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপিল আবেদন গৃহীত হয়। এটাই আইনের বিধান। এই আপিল গ্রহণের ফলে রায়ের কার্যকারিতাও স্থগিত হয়ে গেছে।”
“আমি আশা করি, আগামী নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী অংশ গ্রহণে কোনো বাধা থাকবে না।”
ঈদের পর জোরদার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “আবর বিশ্বে গণতন্ত্রের জন্য আরব বসন্ত এসেছে। তেমনি আমরা আশা করছি- ঈদের পর নির্দলীয় সরকারে আন্দোলনের দাবি বাস্তবায়নে মাধ্যমে এই ব্যর্থ সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশে বাংলা বসন্ত আসবে।”
ইউডিএফের সভাপতি এম সানোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা দলের উপদেষ্টা ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য দেন।