জাতীয় পরিচয়পত্র ‘সবাই’ পাবে

দেশের সব নাগরিককে জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার সুযোগ রেখে সংশোধন করা হচ্ছে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন।

মঈনুল হক চৌধুরীবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 July 2013, 04:04 AM
Updated : 28 July 2013, 06:01 AM

সেই সঙ্গে বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় এবার জাতীয় পরিচয়পত্র হিসাবে দেয়া হবে ‘স্মার্টকার্ড’, যার মেয়াদ হবে ১০ বছর।

সর্বশেষ আদমশুমারি অনুযায়ী ১৫ কোটিরও বেশি জনসংখ্যার বাংলাদেশে ছবিসহ ভোটার তালিকায় নাম উঠেছে ৯ কোটি ২২ লাখের মতো মানুষের। ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী এই ভোটারদের সিংহভাগের হাতে পৌঁছেছে লেমিনেশন করা কাগজের তৈরি জাতীয় পরিচয়পত্র। সরকারের বিভিন্ন সেবা নিতে এ পরিচয়পত্র প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করারও পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।

২০০৮ সালে নবম সংসদের আগে ইউএনডিপির সহায়তায় ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে প্রথমবারের মতো ভোটারদের এই পরিচয়পত্র দেয়া হয়। পরে এ পরিচয়পত্রের মেয়াদ ১৫ বছর নির্ধারণ করে আইনও করা হয়।

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অণুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সালিম আহমেদ খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখন সব নাগরিককে জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার সুযোগ রেখে আইন সংশোধনের জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটি পাস হলে পর্যায়ক্রমে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন বিভাগ ১৮ বছরের কম বয়সীদেরও তথ্যসংগ্রহ করে কার্ড দিতে পারবে।”

গত ৯ জুলাই নির্বাচন কমিশনের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবার আইন সংশোধনের প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

মহাপরিচালক জানান, কমিশনকে প্রতিবছরই ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে হয়। সংশোধিত আইন পাস হলে সময়ে সময়ে তথ্যসংগ্রহ করার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে ১৮ বছরের কম বয়সীরাও তালিকাভুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন।

স্মার্টকার্ড

আইন সংশোধন হলে পরিচয়পত্র হিসাবে নাগরিকদের স্মার্টকার্ড দেবে ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন প্রকল্প, যার বাস্তবায়ন হবে বিশ্ব ব্যাংকের ১৩শ’ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের আংশিক অর্থায়নের মাধ্যমে।

এই কার্ড হবে কম্পিউটারসহ যন্ত্রের মাধ্যমে পাঠযোগ্য। ফলে কার্ড জাল হওয়ার আশঙ্কাও কমে আসবে।  

জাতীয় পরিচয়পত্রের মেয়াদ ১৫ বছরের পরিবর্তে ১০ বছর করারও প্রস্তাব করা হয়েছে সংশোধিত আইনে।

সালিম আহমেদ খান বলেন, “স্মার্টকার্ডের লাইফটাইম ১০ বছরের বেশি করা সম্ভব নয়। এজন্যে এ সংশোধন আনা হচ্ছে। বিদ্যমান জাতীয় পরিচয়পত্র ভোটারদের কাছ থেকে ফেরত নিয়ে বিনামূল্যে প্রথমবারের মতো স্মার্টকার্ড দেয়া হবে সংশ্লিষ্টেদের।”

প্রথমবার পাওয়ার পর দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য ‘একটি ফি’ নির্ধারণ করে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

চলতি নবম সংসদের শেষ সময়ে সেপ্টেম্বরে আরেকটি অধিবেশন বসার কথা রয়েছে। মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেলে ওই অধিবেশনে প্রস্তাবিত বিলটি উঠতে পারে বলে কর্মকর্তারা জানান।