সব ঠিক আছে, গোলাম আযমকে ছেলের অভয়

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর ‘গুরু’ গোলাম আযমের রায় ঘোষণার পর পরই হাসতে দেখা যায় তার ছেলে আব্দুল্লাহিল আমান আযমীকে।

সুলাইমান নিলয়বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 July 2013, 04:57 AM
Updated : 15 July 2013, 04:57 AM

দণ্ড ঘোষণার পুরো সময় ট্রাইব্যুনালের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে থাকা কাঠগড়ার সামনে বসেছিলেন আযমী। গোলাম আযমের ভাতিজা সালেহ, আত্মীয় হামজা এবং তার দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত সহকারী শাহাদৎও একই সারিতে ছিলেন।

সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হওয়া গোলাম আযমের এই সন্তান রায়ে অভিযোগ পড়া শুরু হওয়ার পর এজলাসের দিকে পুরো মনোযোগ দেন। দণ্ড ঘোষণার পর ফাঁসি না হওয়ায় হেসে উঠেন তিনি। হাতল চাপড়ান চেয়ারের।

মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ প্রমাণিত হলেও বয়স ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় গোলাম আযমকে ৯০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

এর রায় শুনে হাসতে হাসতে বাবার কাছে গিয়ে আযমীকে বলতে শোনা যায়, সব ঠিক আছে, ফাঁসি হয়নি।

এ সময় আসামির আইনজীবীরাও দৌড়ে আসেন গোলাম আযমের কাঠগড়ার কাছে। সবার চোখে-মুখে স্বস্তি। ভীড়ের মধ্যেই তাদের বলতে শোনা যায়, যা হয়েছে ভালো হয়েছে, আপনারা ভীড় কমান। এখন উনাকে নিয়ে যাবে।

এদিকে সর্বোচ্চ সাজাই গোলাম আযমের প্রাপ্য বলার পরও ফাঁসি না হওয়ায় কেঁদে ফেলেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ।

ট্রাইব্যুনাল থেকে বের হওয়ার পর সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে তাকে কয়েকবার চোখ মুছতে দেখা গেছে।

নিচতলায় নামার পর প্রতিক্রিয়ার জন্য কয়েকজন সাংবাদিক তাকে ঘিরে ধরলে কান্নারত তুরিন চোখ মুছতে মুছতে বলেন বলেন, “অপরাধতো আমরা করেছি। কেন তার অপরাধের তদন্ত ৪০ বছর পর করতে গেছি?”