‘অপরাধ ফাঁসির যোগ্য, দণ্ড বয়স বিবেচনায়’

মানবতাবিরোধী অপরাধের ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা, উস্কানি, সহযোগিতা এবং হত্যা-নির্যাতনে বাধা না দেয়া- পাঁচ ধরনের অপরাধের প্রতিটিতেই গোলাম আযম সর্বোচ্চ শাস্তি পাওয়ার যোগ্য হলেও তাকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে বয়স ও স্বাস্থ্যের অবস্থা বিবেচনায়।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 July 2013, 04:49 AM
Updated : 15 July 2013, 04:50 AM

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সোমবার জামায়াতে ইসলামীর মুক্তিযুদ্ধকালীন আমির গোলাম আযমের যুদ্ধাপরাধ মামলার এই রায় ঘোষণা করে।

ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর রায়ে বলেন,গোলাম আযমের বিরুদ্ধে পাঁচ ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগই প্রমাণিত হয়েছে। বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড মিলিয়ে তাকে টানা ৯০ বছর সাজা অথবা ‘আমৃত্যু’ জেল খাটতে হবে।

৯১ বছর বয়সী এই জামায়াত নেতা রায়ের সময় কাঠগড়াতেই ছিলেন। 

ফজলে কবীর বলেন, “তার যে অপরাধ এর সবগুলোই সর্বোচ্চ শাস্তি পাওয়ার যোগ্য। তবে গ্রেপ্তারের পর থেকেই তিনি বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ভর্তি আছেন। তার বয়স ও শরীরিক অবস্থা বিবেচনা করে এই সাজা দেয়া হয়েছে।”

গোলাম আযমের বিরুদ্ধে প্রথম ও দ্বিতীয় অভিযোগে বলা হয়, বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষকে দমনের জন্য পাকিস্তানের সামরিক কর্তাদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে শান্তি বাহিনী ও রাজাকার বাহিনী গঠন এবং সেগুলোর কার্যক্রম পরিচালনায় সভা করেন। এ দুটি অভিযোগে প্রতিটিতে তাকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়।

তৃতীয় অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধে উস্কানি দেয়ার ২৮টি ঘটনার কথা বলা হয়। চতুর্থ অভিযোগে ছিল মানবতাবিরোধী অপরাধে সহযোগিতা বা সম্পৃক্ততার ২৩টি ঘটনা। এ দুটি অভিযোগের প্রতিটির জন্য তাকে ২০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী দলটির যুদ্ধকালীন প্রধানের বিরুদ্ধে পঞ্চম অভিযোগ ছিল পুলিশ কর্মকর্তা সিরু মিয়া ও তার ছেলেকে হত্যার নির্দেশ দেয়, যার জন্য তাকে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

রায়ের দিন থেকেই প্রতিটি অপরধের সাজা একের পর এক কার্যকর হবে বলেও ট্রাইব্যুনালের আদেশে বলা হয়েছে।