বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সংসদ উন্নয়ন কর্পোরেশনের জহির রায়হান কালার ল্যাব মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ইনু বলেন, “আমি চলচ্চিত্রের লোক নই। তাই চলচ্চিত্রের সংজ্ঞা দিচ্ছি না। তবে চলচ্চিত্র যাত্রা নয় নাটকও নয়। চলচ্চিত্রের নামে যাত্রা বানাবেন না, নাটক বানাবেন না। চলচ্চিত্র সবচেয়ে শক্তিশালী শিল্প মাধ্যম। এটি সমাজ ও মানুষকে প্রভাবিত করে। সুতরাং এর মান অবশ্যই ধরে রাখতে হবে।”
এই শিল্পের জন্য দক্ষ জনশক্তি তৈরি করার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী।
চলচ্চিত্র নিয়ে সরকারের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশে চারশ’র মতো সিনেমা হল। সেগুলোতে বসে সিনেমা দেখা যায় না। আমি জেনেছি একশ’ হলকে ডিজিটালাইজড করতে ত্রিশ কোটি টাকা হলেই তার উন্নয়ন করা সম্ভব। আপনারা এখানে যারা আছেন হল মালিকদের একত্রিত করেন। হল মালিকরা একত্রিত হয়ে গুচ্ছ গুচ্ছ আকারে আমাদের সঙ্গে বসলে আমরা তাদের সহযোগিতা করতে রাজি আছি।”
তৃতীয়পক্ষ উদ্যোগ নিলে এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে একশ’ হলকে ডিজিটাল করা সম্ভব বলে মনে করেন তথ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র চলচ্চিত্রাভিনেতা ‘নায়করাজ’ খ্যাত রাজ্জাক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য সচিব মুর্তজা আমিন, চলচ্চিত্র পরিচালনা সমিতির সভাপতি শহিদুল ইসলাম খোকন, চলচ্চিত্র নির্মাতা আজিজুর রহমান।
সঞ্চলনা করেন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও সংগঠক মোরশেদুল ইসলাম।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালনা সমিতি এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সংসদ আয়োজিত কর্মশালায় ‘বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের সংকট: উত্তরণের পথ’ শীর্ষক আলোচনায় মূলপ্রবন্ধ পাঠ করেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগে অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল ইসলাম।
তিনি এতে চলচ্চিত্রের নানা সংকট ও এ থেকে উত্তরণের জন্য চোদ্দটি প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন।
এতে আরো বক্তব্য দেন মানজারে হাসিন মুরাদ, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সচিব মুশফিকুর রহমান গুলজার, চলচ্চিত্রকার হারুনুর রশিদ, আব্দুস সালাম খোকন, সোহানুর রহমান সোহান, সি বি জামান প্রমুখ।