আশরাফ-মুঈনুদ্দীনের বিচার শুরুর আদেশ

একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হত্যার ১১ অভিযোগে আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মুঈনুদ্দীনের বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 June 2013, 00:03 AM
Updated : 30 Sept 2013, 09:14 AM

চৌধুরী মাঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান খান

বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ট্রাইবুনাল-২ সোমবার বিদেশে অবস্থানরত এই দুই ব্যক্তির অনুপস্থিতিতেই এ মামলায় অভিযোগ গঠন করে।

সূচনা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য ১৫ জুলাই দিন রেখেছে আদালত।  

এর আগে গত ১৬ জুন দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি করেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম ও শাহীদুর রহমান।

আসামি আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মুঈনুদ্দীনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রের নিয়োগ করা আইনজীবী আব্দুস শুকুর খান ও সালমা হাই টুনি।

গত ২৮ এপ্রিল আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মাঈনুদ্দীনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেন প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল।

এতে বলা হয়, ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার নীলনকশায় স্বাধীনতার ঠিক আগে ১১ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের ‘দায়িত্বপ্রাপ্ত’ আলবদর বাহিনীর ‘চিফ এক্সিকিউটর’ ছিলেন আশরাফুজ্জামান খান। আর চৌধুরী মুঈনুদ্দীন ছিলেন সেই পরিকল্পনার ‘অপারেশন ইনচার্জ’।

ওই সময় তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নয় জন শিক্ষক, ছয় জন সাংবাদিক ও তিনজন চিকিৎসকসহ ১৮ বুদ্ধিজীবীকে অপহরণের পর নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করেন বলে অভিযোগ এনেছে প্রসিকিউশন।

তারা দুজনেই জামায়াতে ইসলামীর তখনকার সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের নেতা ছিলেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে ‘সক্রিয় অবস্থান’ নেন।

আশরাফুজ্জামানের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বেজড়া ভাটরা (চিলেরপাড়) গ্রামে। আর চৌধুরী মাঈনুদ্দীনের বাড়ি ফেনীর দাগনভুঞার চানপুরে।

বর্তমানে আশরাফুজ্জামান যুক্তরাষ্ট্রে এবং চৌধুর মুঈনুদ্দীন যুক্তরাজ্যে রয়েছেন।

গত ২ মে আশরাফুজ্জামান ও চৌধুরী মুঈনুদ্দীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। সম্ভাব্য ঠিকানায় তাদের পাওয়া যায়নি বলে প্রসিকিউশন বিভাগ জানানোর পর ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারকে দুটি জাতীয় দৈনিকে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে বলা হয়।

বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ১০ দিনের মধ্যে আশরাফুজ্জামান ও চৌধুরী মুঈনুদ্দীনকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেয়া হয়। উল্লেখিত সময়ের মধ্যে তারা আদালতে হাজির না হওয়ায় তাদের অনুপস্থিতিতেই মামলার কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।

এর আগে আবুল কালাম আযাদের অনুপস্থিতিতে ট্রাইব্যুনালে তার বিচার হয়। যুদ্ধাপরাধের দায়ে তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ হয়েছে।