বাড়িতে হার্ট অ্যাটাকের পর তাকে রাজধানীর শমরিতা হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
ওই হাসপাতালে যোগাযোগ করা হলে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে কর্তব্যরত সেবিকা রুমানা আক্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে মারা যান এই নাট্যকার।
বিটিভির সাবেক উপমহাপরিচালক আতিকুল হকের বয়স হয়েছিলো ৮২ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
প্রোস্টেট ক্যান্সার, ডায়বেটিসসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে তিনি কিছুদিন আগেও হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। কিন্তু চিকিৎসকরা হাল ছেড়ে দেয়ায় তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছিলো।
বাংলাদেশ টেলিভিশন- বিটিভির অসংখ্য জনপ্রিয় নাটকের নির্মাতা আতিকুল হকের বাড়ি বরিশালে। তার জন্ম ১৯৩১ সালের ১৫ ডিসেম্বর ভোলায় মামা বাড়িতে।
বিটিভির উপমহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন ১৯৯০ সালে আতিকুল হক অবসরে যান। এরপর তিনি বেসরকারি একুশে টেলিভিশনের উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগেও তিনি ১১ বছর শিক্ষকতা করেছেন।
শ্রেষ্ঠ নাট্য প্রযোজক হিসেবে তিনি ১৯৭৬ সালে জাতীয় টেলিভিশন পুরস্কার লাভ করেন। বাংলা একাডেমী পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, বিটিভির সেরা প্রযোজকসহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
১৯৬০ সালে রেডিও পাকিস্তানে যোগ দেয়ার মাধ্যমে আতিকুল হক কর্মজীবন শুরু করেন, ১৯৬৬ সালে যোগ দেন বাংলাদেশ টেলিভিশনে।
তার প্রযোজিত নাটকের মাধ্যমে টেলিভিশনের পর্দায় আসেন আবুল হায়াত, হুমায়ুন ফরীদি, শর্মিলী আহমেদ, কেয়া চৌধুরী, মিতা চৌধুরী, জুয়েল আইচ, আফরোজা বানু, মেঘনা, শম্পা রেজা, শমী কায়সার, সালমান শাহ প্রমুখ।