বুলবুলের জয় নিশ্চিত হওয়ার পর শনিবার রাত সোয়া ১টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিবিরকর্মীরা ‘আনন্দ মিছিল’ বের করে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আবু হুসাইন বিপু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বঙ্গবন্ধু হলের সামনে থেকে শতাধিক শিবির ক্যাডার আনন্দ মিছিল বের করে। এসময় তারা পাঁচটি হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় এবং বেশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তারিকুল হাসান মিলন রাত দেড়টার দিকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি।”
তবে আনন্দ মিছিল হওয়ার কথা জানালেও বোমা ফাটানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি পুলিশ।
মতিহার থানার ওসি অসিত কুমার ঘোষ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ক্যাম্পাসে শিবিরকর্মীরা ‘আনন্দ মিছিল’ করেছে বলে আমি শুনেছি। তবে বোমা বিস্ফোরণ বা গুলির ঘটনার বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই।”
বঙ্গবন্ধু হলের এক শিক্ষার্থী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শিবিরের মিছিলের পেছনে কয়েকজন পুলিশ সদস্যকেও তিনি দেখেছেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদ শেষের দিকে হওয়া ইতিমধ্যেই ক্যাম্পাসের বিভিন্ন হলে অবস্থান নিতে শুরু করেছে শিবির কর্মীরা।
মেয়র নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিন ধরেও ক্যাম্পাসে অবস্থান ছিল শিবিরকর্মীদের।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবির সভাপতি আশরাফুল আলম ইমন রাত ২টা ৫৬ মিনিটে তার ফেইসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “আলহামদুলিল্লাহ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের বিজয় মিছিল আজ রাত ১টায় অনুষ্ঠিত হলো।
রাসিক নির্বাচনের প্রচারণার শেষ দিন গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতে হাতে শিবিরকর্মীরা প্রকাশ্যে বুলবুলের পক্ষে প্রচারপত্রও বিলি করে।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক জামায়াতে ইসলামী।
স্বাধীনতাবিরোধী এই দলটির ছাত্র সংগঠন হচ্ছে শিবির, যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিরোধী রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের হাত-পায়ের রগ কাটার অভিযোগ রয়েছে।
৪৭ হাজার ৩২২ ভোটের ব্যবধানে সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে পরাজিত করে বুলবুল বিজয়ী হয়েছেন।