আহতদের চিকিৎসা দেয়ায় পুলিশের ভর্ৎসনা

রাজধানীর রোকেয়া সরণিতে রাবার বুলেটে গুরুতর আহত দুই পোশাক শ্রমিককে চিকিৎসা দেয়ায় পুলিশের ভর্ৎসনা শুনতে হলো এক চিকিৎসককে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 May 2013, 07:45 AM
Updated : 29 May 2013, 08:55 AM

চিকিৎসক বলছেন, তিনি মানবিক কারণে চিকিৎসা দিয়েছেন। আর পুলিশের প্রশ্ন- কার অনুমতি নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হলো।

ঘটনার শুরু বুধবার সকালে মিরপুরের শেওড়াপাড়ায়। সেখানে শানিন গ্রুপের গার্মেন্ট শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এ সময় বুলেটে আহত হন গার্মেন্টস শ্রমিক সকিনা বেগম (৪৫) ও তার মেয়ে শিরিন (২১)।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিবেদক গোলাম মুজতবা ধ্রুব জানান, আহত দুই জনের পা দিয়ে রক্ত ঝরছিল, ব্যাথায় কাতরাতে দেখা যায় তাদের।

ঘটনার পরপরই সহকর্মীরা তাদের নিয়ে কাজীপাড়ায় এক্সিম ব্যাংক হাসপাতালে যান।

হাসপাতালের তথ্যকেন্দ্র থেকে জানানো হয়, শিরিনের পা থেকে একটি রাবার বুলেট বের করা হয়েছে। বুলেটের আঘাতে সকিনার পায়েও গভীর ক্ষত হয়েছে। চিকিৎসা শেষে তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

তারা দুজন চলে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সাদা পোশাকে হাসপাতালে আসেন উপপরিদর্শক কামাল হোসেন। অনেকটা উত্তেজিত হয়ে তথ্যকেন্দ্র থেকে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের খোঁজ নিতে দেখা যায় তাকে।

তথ্যকেন্দ্র থেকে মোবাইল নম্বর নিয়ে চিকিৎসক মো. আলমগীর সিকদার রনিকে ফোন করে তাকে বলতে শোনা যায়, “আপনি কেন ওদের চিকিৎসা করেছেন। কে আপনাকে ওদের চিকিৎসা করার অনুমতি দিল। পুলিশ তো অনুমতি দেয়নি। কেন অনুমতি নেননি।”

পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের পক্ষ থেকে চিকিৎসক রনির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আহতরা যখন হাসপাতালে আসেন তখন তাদের আঘাত ছিল গুরুতর। তিনি মানবিক কারণেই চিকিৎসা দিয়েছেন। সেকথা পুলিশকেও জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এসআই কামাল ক্ষোভের সুরে বলেন, “আপনারা সাংবাদিকরা খামোখা পুলিশকে নিয়ে সংবাদ করে মজা পান, তাই না?”

“আমি হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে ফোনে জানতে চেয়েছি ডাক্তার সাহেব থানার অনুমতি ছাড়া কেন আহতদের চিকিৎসা করেছেন, আর কিছু নয়।”

কারো সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেননি বলেও দাবি করেন তিনি।