সজলের মরদেহ আনতে সরকারি উদ্যোগ

এভারেস্ট চূড়া থেকে ফেরার পথে নিহত সজল খালেদের মরদেহ সরকারি উদ্যোগে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

রিয়াজুল বাশারবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 May 2013, 07:17 AM
Updated : 23 May 2013, 09:18 AM

কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব খান মোহাম্মদ মইনুল হোসেন বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, “হিমালয় চূড়া থেকে সজলের লাশ নিয়ে আসতে প্রায় ৬০ হাজার ডলার খরচ হবে। এ খরচ সরকারের পক্ষ থেকে বহন করা হবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে।”

 “আমরা ইতোমধ্যেই শেরপাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। মরদেহ বেসক্যাম্পে নামিয়ে আনতে ১০ জন শেরপা পরশু সকালে রওনা হবে।”

এভারেস্ট চূড়া থেকে ফেরার পথে গত ২০ মে মারা যান চলচ্চিত্র নির্মাতা মোহাম্মদ খালেদ হোসেনের, যিনি সজল খালেদ নামেই পরিচিত

এর আগে সজলের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল মৃতদেহ ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী তাদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

সজলের স্ত্রী তাহমিনা খান শৈলীর ছোট ভাই নাসির খান সৈকত বৃহস্পতিবার বিকেলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের পরিবারের যোগাযোগ হয়েছে। তিনি সজল খালেদের মরদেহ হিমালয় থেকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।”

সজল খালেদের মৃতদেহ হিমালয়ের প্রায় ২৮ হাজার ৭৫০ ফুট উচ্চতায় সাউথ সামিটে রয়েছে। সেখান থেকে মরদেহ নামিয়ে আনতে প্রায় ৫০ হাজার ডলার বা ৪১ লাখ টাকা খরচ হতে পারে বলে ধারণা করছেন এভারেস্ট জয়ী মূসা ইব্রাহীম।

শৈলীর ছোট ভাই সৈকত বলেন, “সজলকে ফিরিয়ে আনার জন্য আর্থিক বিষয়ে আমাদের যে শঙ্কা ছিল তা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ হওয়ার পর কেটে গেছে। ইতোমধ্যে কাঠমান্ডু দূতাবাস কাজ শুরু করেছে। দূতাবাসের প্রথম সেক্রেটারির সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে।”

তিনি জানান, সজলের মরদেহ আনার প্রক্রিয়ার জন্য তার দুজন বন্ধু ইতোমধ্যে কাঠমান্ডু পৌঁছেছেন।