রোববার সকালে ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়েগুলোকে (আইআইজি)সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে বিষয়টি জানায় বিটিআরসি।
সংস্থার চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস বলেছেন, পুরো বিষয়টি হয়েছে ভুল বোঝাবুঝির কারণে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান রোববার বিকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গতি কমানোর নির্দেশনা ছিল মাত্র দুই ঘণ্টার জন্য।
“তবে সংশ্লিস্ট কর্মকর্তা নির্দেশনা প্রত্যাহারের নোটিসটি ই-মেইল করে পাঠালেও প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে তা আইআইজিগুলো পায়নি।”
তিনি জানান, অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা পযবেক্ষণের জন্য গতি কমানোর ওই নির্দেশনা দেয়া হয়েছিলো। ওই সময়ে কয়েকটি মোবাইল ফোন অপারেটরের কল আসা-যাওয়া পযবেক্ষণ করা হয়েছিলো।
আইআইজি প্রতিষ্ঠান ফাইবার অ্যাট হোমের চিফ স্ট্রাট্রেজিক অফিসার ও তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রোববার সকালে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ গতি কমানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের চিঠি পান তারা।
এর পরপরই আইআইজিগুলো ইন্টারনেট আপলোড গতি স্বাভাবিক করেছে বলেও জানান তিনি।
গত বৃহস্পতিবার অবৈধ ভিওআইপি প্রতিরোধে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথে আপলোড গতি সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ করার জন্য আইআইজিগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছিলো বিটিআরসি।
ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো জানায়, ওই নির্দেশনার ফলে বৃহস্পতিবার থেকে তারা ইন্টারনেট আপলোড গতি ৭৫ শতাংশ কমিয়ে আনায় গ্রাহকরা আপলোড গতি কম পাচ্ছিলেন।
ফেইসবুকে ছবি আপলোড, স্কাইপে ভিডিও চ্যাটসহ ইন্টারনেট ব্যবহারে নানা সমস্যায় পড়েছিলেন ব্যবহারকারীরা।
তবে এ নির্দেশনার ফলে ইন্টারনেটে ডাউনলোড গতিতে কোনো প্রভাব ছিল না।
বর্তমানে বাংলাদেশে ৩৬টি আইআইজি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
আইআইজি প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যান্ডউইডথ নিয়ন্ত্রণ ও পাইকারি ব্যান্ডউইডথ আইএসপিদের কাছে বিক্রি করে এবং আইএসপিগুলো গ্রাহক পযায়ে এ সেবা দিয়ে থাকে।