ভালো প্রস্তুতি ঝুঁকি কমিয়েছে: মন্ত্রী

ঘূর্ণিঝড় মহাসেন মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, এ কারণে ঝড়ে জানমালের ঝুঁকি অনেক কমে এসেছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 May 2013, 02:44 AM
Updated : 16 May 2013, 02:44 AM

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে পটুয়াখালীর খেপুপাড়া দিয়ে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম শুরু করে মহাসেন। প্রথমে এটি ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার বেগে অগ্রসর হলেও পরে তা নেমে আসে ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটারে।

ঝড়ের আগের রাতে ও সকালে দমকা হাওয়ায় ভোলা, বরগুনা ও পটুয়াখালীতে গাছচাপায় তিনজন নিহত হয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে।

ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা কমিয়ে আনার জন্য আগের দিন চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ৭ নম্বর এবং মংলায় ৫ নম্বর সতর্কতা জারি করা হয়।

ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষকে সরিয়ে আনতে উপকূলের ১৫ জেলায় তিন হাজার ২৯৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয় বলে জানান মন্ত্রী।

এসব আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ১০ লাখ মানুষকে নিয়ে আসা হয় বলে জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী জানান, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে ১০ কোটি টাকা এবং পাঁচ হাজার মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে।

এছাড়া ঝড়ের পরে উদ্ধার কার্যক্রম ও ত্রাণ বিতরণের জন্য ১৯টি হেলিকপ্টার, চারটি বিমান এবং নৌবাহিনীর ২২টি জাহাজ প্রস্তুত রাখা হয় বলে জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, “যেসব এলাকায় সড়কপথে পৌঁছানো সম্ভব হবে না সেখানে হেলিকপ্টার ও বিমানের মাধ্যমে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম চালানো হবে।”

ঝড় মোকাবেলায় পুলিশ ও বিজিবি, সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি সরকারি কর্মচারী ও স্বেচ্ছাসেবী অনেক সংগঠন সম্মিলিতভাবে কাজ করছে।

এছাড়া ঝড়ের পর স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।

মন্ত্রী জানান, ঝড় থেকে রক্ষার জন্য চট্টগ্রামের ৪৭৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে দুই লাখ ৮৩ হাজার, কক্সবাজারের ৩৭৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে এক লাখ ৯৭ হাজার ৫৭৭, নোয়াখালীতে ২৪৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে ২৪ হাজার ৫০০, ফেনীতে ৭৩টি আশ্রয় কেন্দ্রে চার হাজার, লক্ষ্মীপুরের ১৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে চার হাজার ৬৪৩, খুলনায় ১৯৬টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৪০ হাজার ২৫০, সাতক্ষীরায় ৬৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে ২৭ হাজার ৫৭০, বাগেরহাটে ২৩১টি আশ্রয় কেন্দ্রে এক লাখ ১০ হাজার, বরিশালে ২২৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে তিন হাজার ২৫০, পিরোজপুরে ১২৮টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৬০ হাজার ৭০০, ঝালকাঠিতে ২৮টি আশ্রয় কেন্দ্রে চার হাজার, পটুয়াখালীতে ৩২২টি আশ্রয় কেন্দ্রে এক লাখ ৯ হাজার ৩৩২, বরগুনায় ৩২৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৬৪ হাজার ৫০০, ভোলার ৪৬০টি আশ্রয় কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৩০০ এবং চাঁদপুরে ১২১টি আশ্রয় কেন্দ্রে চার হাজার ৪০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।