দুর্বল হয়ে স্থলভাগ পেরুচ্ছে মহাসেন

বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হতে থাকা ঘূর্ণিঝড় মহাসেন মেঘনা মোহনা হয়ে নোয়াখালী এবং চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড দিয়ে স্থলভাগ অতিক্রম করছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 May 2013, 01:21 AM
Updated : 16 May 2013, 04:14 AM

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. শাহ আলম বেলা ১টার দিকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে  বলেন, “এখন মহাসেন মেঘনা মোহনা হয়ে নোয়াখালী-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করছে। ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির কারণে তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ছে।”

আগামী ৩ থেকে ৫ ঘণ্টার মধ্যে এ ঝড় বাংলাদেশ উপকূল পার হয়ে মিয়ানমারের দিকে সরে যাবে বলে আবহাওয়াবিদদের ধারণা।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, “মহাসেন উপকূল পার হয়ে গেলে বিপদ সংকেত নামানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।”

শাহ আলম জানান, সকাল থেকে প্রথম ছয় ঘণ্টায় ঘূর্ণিঝড়টি ৫০ কিলোমিটার বেগে এগোচ্ছিল। বেলা ১২টার পর এগোনোর গতিও কমে ঘণ্টায় ২০-২৫ কিলোমিটারে নেমে এসেছে।

“স্থলভাগ পার হওয়ার সময় এখন এগোনোর গতি স্বল্প। পটুয়াখালী দিয়ে অতিক্রমের সময় বিস্তীর্ণ এলাকায় ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি ঝরায় মাঝারি মাত্রার এই ঘূর্ণিঝড় ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ছে।”

রাত ৯টার মধ্যে মহাসেন বাংলাদেশ উপকূল পুরোপুরি পার হয়ে যাবে বলে ধারণা করছেন তিনি।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঝড়ো হাওয়ার প্রভাবে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত দেশের উপকূলসহ বিস্তীর্ণ এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।

সকাল ৯টার দিকে পটুয়াখালীর খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম শুরু করে মহাসেনের বর্ধিতাংশ।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্বের জেলাগুলোতে প্রবল দমকা বাতাসের বৃষ্টি চলছে সকাল থেকে।পটুয়াখালী, ভোলা, নোয়াখালী, বরগুনাসহ বিভিন্ন এলাকায় বহু কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

ভোলা ও বরগুনায় ঝড়ে গাছ চাপা পড়ে নিহত হয়েছেন দুইজন। ঘূর্ণিঝড়ের আওতায় থাকা ১৫টি জেলার মধ্যে নয়টির অধিকাংশ এলাকায় সকাল থেকে বিদ্যুৎ নেই।

আবহাওয়াবিদ ছানাউল হক মণ্ডল জানান, এই ঘূর্ণিঝড়ের ব্যস প্রায় ৪শ’ কিলোমিটার। এর কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার থেকে ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।

তীব্র ঝড়ো হাওয়া ও সাগর উত্তাল থকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর ও মংলা সমুদ্রবন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে।

ঝড় উপকূল অতিক্রম করার সময় নিচু এলাকাগুলো স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন আবহাওয়াবিদরা।