বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত রাজধানীতে ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মহাসেন খেপুপাড়া অতিক্রম করছে সকাল ৯টায়। ওই সময় থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত সেখানে ২৩৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা দেশের সর্বোচ্চ।
সকাল থেকে রাজধানীতে মাঝারি বর্ষণে কোথাও কোথাও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’ এর প্রভাবে ভোর থেকে ঢাকা মহানগরী ও এর আশপাশের এলাকায় মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে ঢাকার বিভিন্ন রাস্তায় পানি জমে যানজটে নাকাল হতে হচ্ছে নগরবাসীরকে। বিশেষ করে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ অফিসগামী মানুষেরা পড়েছে বিপাকে।
জলাবদ্ধতার কারণে বিভিন্ন সড়কে সিএনজিচালিত বহু যানবাহন বিকল হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
ঢাকার রাজপথে এদিন গণপরিবহনের সংখ্যা কম হওয়ায় সাধারণ যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন।
ঢাকার একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাজেদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরকে জানান, শাহবাগ মোড়ে প্রায় আধা ঘণ্টা অপেক্ষার পর একটি গাড়ি পেয়ে মহাখালীর উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি।
এর আগে শেখ সাহেব বাজার থেকে পানি ভেঙে আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড এসে কোনো বাস না পেয়ে রিকশায় শাহবাগ আসেন তিনি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ ছানাউল হক মণ্ডল জানান, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মহাসেন উপকূল ঘেঁষে আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বাংলাদেশের উপর দিয়ে মিয়ানমারে চলে যেতে পারে।
এর প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ স্থানে এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়াদিরা জানান, ঘূর্ণিঝড় সরে না যাওয়া পর্যন্ত এমন আবহাওয়া বিরাজ করবে। ঝড় দুর্বল হয়ে গেলে প্রচুর বৃষ্টি হতে পারে।
ভারি বর্ষণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধসেরও পূর্বাভাস দিয়েছে অধিদপ্তর।