আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শাহ আলম বেলা সাড়ে ১১ টায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমশ গতিশীল হয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
“আরো উত্তর পূর্ব দিকে এগিয়ে ৩ থেকে ৫ ঘণ্টার মধ্যে মহাসেন মেঘনা মোহনা হয়ে চট্টগ্রাম-নোয়াখালী উপকূল পেরিয়ে যেতে পারে।”
সকাল ৯টার দিকে পটুয়াখালীর খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম শুরু করে মহাসেনের বর্ধিতাংশ।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্বের জেলাগুলোতে প্রবল দমকা বাতাসের সঙ্গে চলছে বৃষ্টি। ঝড়ের বর্ধিতাংশের প্রভাবে বাতাসের বেগ বাড়তে থাকায় পটুয়াখালী, ভোলা, নোয়াখালী, বরগুনাসহ বিভিন্ন এলাকায় বহু কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ভোলা ও বরগুনায় ঝড়ে গাছ চাপা পড়ে নিহত হয়েছেন দুইজন। ঘুণিঝড়ের আওতায় থাকা ১৫টি জেলার মধ্যে নয়টির অধিকাংশ এলাকায় সকাল থেকে বিদ্যুৎ নেই।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, মহাসেন সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম থেকে ১৫০ কিলোমিটার, কক্সবাজার থেকে ১৪০ কিলোমিটার ও মংলা থেকে ১৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে অবস্থান করছিল।
আবহাওয়াবিদ ছানাউল হক মণ্ডল জানান, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত এই ঘূর্ণিঝড়ের ব্যস প্রায় ৪শ’ কিলোমিটার। এর কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার থেকে ৯০ কিলোমটার পর্যন্ত বাড়ছে।
তীব্র ঝড়ো হাওয়া ও সাগর উত্তাল থকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর ও মংলা সমুদ্রবন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলছে।
ঝড় উপকূল অতিক্রম করার সময় নিচু এলাকাগুলো স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন আবহাওয়াবিদরা।