আশুলিয়ায় আবারো শতাধিক কারখানায় ছুটি

বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, কর্মস্থলে নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন দাবিতে সোমবারও বিক্ষোভের পর আশুলিয়ায় শতাধিক পোশাক কারখানায় ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

সাভার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 May 2013, 01:37 AM
Updated : 13 May 2013, 01:37 AM
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে বিক্ষোভরত শ্রমিকরা প্রায় একঘণ্টা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় তারা কয়েকটি কারখানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ভাংচুরের চেষ্টা চালায়।

পরে লাঠিপেটা করে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে বেশকিছু শ্রমিক আহত হয়েছে।

একই দাবিতে রোববারও আশুলিয়ায় এনভয় গ্রুপ, হামীম গ্রুপ, দ্য স্টারলিংক স্টাইল, মেডলার অ্যাপারেল ও অনন্ত গ্রুপসহ বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করলে শতাধিক কারখানায় ছুটি ধেয়া হয়।

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তফা কামাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সকাল ৮টার দিকে শ্রমিকরা কারখানায় প্রবেশ না করেই বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকে। সাড়ে ৮টার দিকে তারা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে।

এরপর জামগড়া, ঘোষবাগ, নিশ্চিন্তপুর, নরসিংহপুর ও বেরন এলাকার নীট এশিয়া, ডেকো গ্রুপ, হা-মীম গ্রুপ, দি রোজ ড্রেসেস লিমিটেড, স্টার লিংক স্টাইল লিমিটেড, শেড ফ্যাশনস লিমিটেডসহ শতাধিক কারখানা কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয় দিনের মতো একদিনের ছুটি ঘোষণা করে।

বেলা ১১ দিকে ধীরে ধীরে শ্রমিকরা যে যারমতো চলে যায়।

যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে অতিরিক্ত পুলিশ, র‌্যাব, শিল্প পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন রয়েছে বলেও নিশ্চিত করেন পরিদর্শক মোস্তফা কামাল।

হা-মীম গ্রুপের উপমহাব্যবস্থাপক দেলোয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শ্রমিকরা সকালে কারখানায় এসে বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে হাজিরা দিয়েই বেরিয়ে যায়।

“কয়েকহাজার শ্রমিককে বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। তবে মঙ্গলবার কারখানা খোলা রাখা হবে,” বলেন তিনি।

এদিকে বকেয়া বেতনের দাবিতে সাভারের সোবাহানবাগ এলাকার ফাতেহা গামের্ন্টের কিছু শ্রমিক বিক্ষোভ করেছে।

কারখানার দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় ফাটল দেখা দেয়ায় গত ২৫ এপ্রিল কারখানাটি বন্ধ করে দেয় সাভার উপজেলা প্রশাসন।

সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জলিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ১০/১২ জন শ্রমিক বেতন পায়নি। তাই তারা বিক্ষোভ করেছে। কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে তারা বকেয়া পরিশোধ করার আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা চলে যায়।