বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের কপি হস্তান্তর করেন।
দিনাজপুর জিলা স্কুল, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও নুরজাহান আলিয়া মাদ্রাসার কয়েকজন পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলে আনুষ্ঠানিকভাবে মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী, যার অপেক্ষায় ছিলেন সারা দেশের ১৩ লাখ ৩ হাজার ২০৩ জন শিক্ষার্থী।
দুপুর ১টায় মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী; এরপরেই শিক্ষার্থীরা ফল জানতে পারবে।
দুই বছর আগে প্রথম জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে যারা নবম শ্রেণিতে উঠেছিল, তারাই এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়। ৩ ফেব্রুয়ারি দেশের ২ হাজার ৭৫৮টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা শুরু হয়।
পাশের হার সর্বোচ্চ রাজশাহী বোর্ডে
মাধ্যমিকে এবার সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী পাস করেছে রাজশাহী বোর্ডে, ৯৪ দশমিক ০৩ শতাংশ।
এছাড়া ঢাকা বোর্ডে ৮৭.৩১ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৮৮.০৪ শতাংশ, কুমিল্লায় ৯০.৪১ শতাংশ, বরিশালে ৮৮.৬৩ শতাংশ, যশোরে ৯২.৬২ শতাংশ, সিলেটে ৮৮.৯৬ শতাংশ, ও দিনাজপুরে ৯০.৬০ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছে এসএসসিতে।
এবার মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক ১৩ শতাংশ।
পাশের হার ও জিপিএ-৫ বেড়েছে
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাশ করেছে ১১ লাখ ৫৪ হাজার ৭৭৮ জন শিক্ষার্থী। পাশের হার ৮৯ দশমিক ০৩ শতাংশ।
গত বছর এই পরীক্ষায় ৮৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করে। সে হিসেবে পাশের হার বেড়েছে ২ দশমিক ৬৬ শতাংশ পয়েন্ট।
এ বছর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ৯ হাজার ১৪ বেড়ে হয়েছে ৯১ হাজার ২২৬ জন। গত বছর সর্বোচ্চ এই
জিপিএ পেয়েছিল ৮২ হাজার ২১২ জন।
এবার সম্মিলিতভাবে ৮৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ ছাত্রী এবং ৮৯ দশমিক ১৮ শতাংশ ছাত্র পাস করেছে। সর্বোচ্চ জিপিএ- পাওয়াদের মধ্যে ছাত্র ৫২ হাজার ৩৯২ জন এবং ছাত্রী ৩৮ হাজার ৮৩৪ জন।
গত বছর ৮৫ দশমিক ৪১ শতাংশ ছাত্রী এবং ৮৭ দশমিক ২৭ শতাংশ ছাত্র পাস করেছিল।
ফল জানা যাবে মোবাইলে
যে কোন মোবাইল অপারেটর থেকে এসএমএস করে এসএসসির ও সমমানের পরীক্ষার ফল জানা যাবে।
ফল জানতে এসএসসি লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে পরীক্ষার সাল লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল জানানো হবে।