দাবি পূরণ, নইলে অবস্থান: হেফাজত

তের দফা দাবি বাস্তবায়নের আগে রাজপথ না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 May 2013, 05:43 AM
Updated : 5 May 2013, 06:46 AM

রোববার মতিঝিলে শাপলা চত্বরে সমাবেশের মূল মঞ্চ থেকে এ ঘোষণা আসে।

বক্তারা বলেন, এই সরকারের বিদায়ের ঘণ্টা বেজে গেছে। তের দফা দাবি পূরণ না করে তারা মাঠ ছাড়বেন না। প্রয়োজনে রাজপথেই রাত কাটাবেন।

দাবি না মানলে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী থাকতে দেয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ার করেন তারা। পাশাপাশি মূল মঞ্চ থেকে আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মুক্তি দাবি করেন হেফাজত নেতারা।  

দুপুরে সমাবেশের অনুমতি পাওয়ার পর ঢাকার প্রবেশ পথে অবস্থান নেয়া হেফাজতকর্মীরা মতিঝিলে শাপলা চত্বরে জড়ো হতে শুরু করেন। অবশ্য এর আগেই যাত্রাবাড়িতে অবরোধের সৃষ্টি করা হেফাজতকর্মীদের একটি অংশ মতিঝিলে অবস্থান নিয়ে রেখেছিলেন।

মতিঝিলে আগে থেকে অবস্থান নেয়া হেফাজত কর্মীদের একটি অংশ বেলা ১২টার দিকে পল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাসের শেল ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দিলে বায়তুল মোকররম মসজিদের সীমানার ভেতরে রাখা পুলিশের দুটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় তারা।

হেফাজতে ইসলাম জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জোহরের নামাজের পর রাস্তায় সমাবেশে করার অনুমতি চাইলেও শনিবার তার অনুমতি পায়নি। রোববার পুলিশের উপ কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান জানান, হেফাজতে ইসলামকে শাপলা চত্বরে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়া হয়েছে।

ব্লগারদের শাস্তি ও নারীনীতি বাতিলসহ ‘বিতর্কিত’ ১৩ দফা দাবিতে সরকারকে চূড়ান্ত চাপ দিতে হেফাজতে ইসলামের অবরোধে ভোর থেকে সারাদেশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে রাজধানী।

রোববার ভোরে ফজরের নামাজের পরপরই ১৩ দফা দাবিতে হেফাজতকর্মীরা টঙ্গী ব্রিজ, যাত্রাবাড়ির কাজলা, ডেমরা, বাবুবাজার ব্রিজ, পোস্তগোলা ব্রিজ, নারায়ণগঞ্জ ও সাভারের আমিনবাজার ও গাবতলীতে অবস্থান নেয়। তাদের ঢাকার কেন্দ্রে আসা ঠেকাতে বিভিন্ন স্থান ব্যারিকেডও দেয় পুলিশ।

ফজরের নামাজের পরপরই অবরোধ করে ঢাকা 'বিচ্ছিন্ন' করে ফেলা হেফাজতের নেতাকর্মীরা অবশ্য পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে হলেও ঢাকায় সমাবেশ করার হুঁমকি দিচ্ছিলেন। প্রয়োজনে দুই-তিন দিন অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ারও কথা জানান হেফাজতকর্মীরা।