গুলিস্তান রণক্ষেত্র, নিহত ১

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালায়ের সামনে ১০ থেকে ১৫টি হাতবোমা বিস্ফোরণে পর ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। গুলিতে নিহত হয়েছেন পুলিশের রিকুইজিশন করা বাসের এক হেলপার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 May 2013, 02:01 AM
Updated : 5 May 2013, 04:23 AM
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার বেলা পৌনে ২টার দিকে হেফাজত কর্মীরা যখন বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে মতিঝিলে সমাবেশে অংশ নিতে যাচ্ছিলেন, তখনই হঠাৎ বিস্ফোরণ শুরু হয়।

বিস্ফোরণের পরপরই পাঁচ থেকে সাতজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় ভ্যানে করে সেখান থেকে সরিয়ে নিতে দেখা যায় বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক লিটন হায়দার জানান।

শাহাদত হোসেন নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হামলাকারীদের হাতে ছোট আগ্নেয়াস্ত্রও দেখছেন তিনি। তার ধারণা, এই হামলায় জামায়াত-শিবিরের হাত থাকতে পারে।

ঘটনাস্থল থেকে জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রিয়াজুল বাশার জানান, হামলাকারীরা এ সময় অন্তত ১৫টি গাড়িও ভাংচুর করে।

এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় হেফাজতকর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ একের পর এক রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছোড়ে।

এ সময় পুলিশের রিকুইজিশন করা হানিফ পরিবহনের একটি বাসের হেলপার সিদ্দিকুর রহমানের (২৮) মুখে গুলি লাগে।

ওই বাসের চালক জুয়েল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, স্টেডিয়ামের পাশে সংঘর্ষের সময় দাঁড়িয়ে ছিলেন জুয়েল। এ সময় তার মুখে গুলি লাগে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান তিনি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক প্রতাপ বলেন, গুলির আঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নেওয়ার আগেই জুয়েল মারা গেছেন।

হাসপাতাল থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মোবারক হোসেন জানান, সংঘর্ষে আহত ৪৮ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের ৯০ শতাংশের শরীরে গুলির চিহ্ন রয়েছে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।

গুলিস্তানে সংঘর্ষ চলাকালে হামলাকারীদের মধ্যে থেকে ‘নারায়ে তাকবির’ শ্লোগান শোনা যায়। এক পর্যায়ে স্টেডিয়াম, রাজউক ভবন, গুলিস্তান ও গোলাপ শাহর মাজার এলাকাতেও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।

এ সময় আওয়ামীলীগ কর্মীরাও লাঠি হাতে সংঘর্ষে জড়ায়।

দলীয় কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিএনপি ও জামায়াতের ইন্ধনে এ হামলা চালানো হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে মিলে আমাদের কর্মীরা হামলা প্রতিরোধ করেছে।”