সাভারে ভবন ধসে বহু মানুষ হতাহতের পর বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলে এসে এ ভবনে ক্লাশ করতে অস্বীকৃতি জানায় চসিক পরিচলিত কদমমোবারক সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে নগরীর ঝুঁকিপূর্ণ ৫৭ টি ভবন ভেঙ্গে ফেলার জন্য চসিকের পক্ষ থেকে বলা হলেও নিজেদের ভবন নিয়ে কিছু বলেনি তারা।
গত ছয় বছরের বেশি সময় আগে পরিত্যক্ত হলেও এখনও ক্লাস চলে এ ভবনে। তবে এ ভবনে বৃহস্পতিবার ক্লাস করতে শিক্ষার্থীদের অস্বীকৃতি জানানোর পর ক্লাস এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. মোখলেছুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সকালে শিক্ষার্থীরা স্কুলে এসে ক্লাস করতে অস্বীকৃতি জানায়।
‘‘এসময় আমি চসিকের মেয়র, প্রধান নির্বাহী ও শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে কথা বলে স্কুল বন্ধ দিয়েছি।”
সরেজমিন স্কুল পরিদর্শনে দেখা যায়, ১৯২৯ সালে নির্মিত চারতলা ভবনটিতে সকালে হয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস আর ১১ টা থেকে হয় মাধ্যমিক স্কুলের ক্লাস।
ভবনের প্রত্যেকটি রুমে খসে পড়ছে পলেস্তরা। সিঁড়ি থেকে শুরু করে ভবনের স্তম্ভ সব জায়গায়ই একই অবস্থা।
স্কুলের প্রবীণ শিক্ষক আশীষ রাহা জানান, গত শনিবার ক্লাস রুমে পলেস্তরা খসে পড়ে মাথায় আঘাত পায় অনিক দে নামে ১০ম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী।
এমনকি পলেস্তারা খসে পড়ে তিনিও আহত হন।
এ ব্যাপারে সিটি কর্পোরেশনের শিক্ষা কর্মকর্তা নূরুল আলম নিজামী বলেন, “আগে থেকে সিদ্ধান্ত ছিল এ স্কুলটিসহ আরও ১২ টি স্কুলের নতুন ভবন নির্মাণের।সাভারের ঘটনার পর অভিবাবকরা শংকিত হয়ে তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছে।
বর্তমানে স্কুলটি স্থানান্তর করে চন্দনপুরায় গুলজার বেগম সিটি কর্পোরেশন স্কুল ভবনে নিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানান এই শিক্ষা কর্মকর্তা।