ধ্বংসস্তূপের নিচে বাঁচার জন্য আকুতি

সাভারে ধসে পড়া বহুতল ভবনে এখনো অনেকে আটকা পড়ে আছেন বলে জানিয়েছেন উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 April 2013, 01:04 AM
Updated : 25 April 2013, 00:07 AM

বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রানা প্লাজা নামের নয়তলা ভবন ধসে, যার প্রথম দুই তলায় রয়েছে ইলেকট্রনিক্স, কম্পিউটার, প্রসাধন সামগ্রী ও কাপড়ের মাকের্ট এবং ব্র্যাক ব্যাংকের একটি শাখা ছিল।

আর তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ তলায় পাঁচটি পোশাক কারখানায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার শ্রমিক কাজ করতেন।

ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে বেরিয়ে আহত এক ব্যক্তি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অনেকে চাপা না পড়লেও ভবনের পিলারের আশপাশে আছে। তারা বাঁচার জন্য আহাজারি করছে।”

ভবনের ষষ্ঠতলায় ঈথার টেক্সটাইল লিমিটেডে কাজ করছিলাম সেলিম। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমি ছয়তলায় কাজ করছিলাম। আমার ফ্লোরে অন্তত ৫০ থেকে ৬০ জন আটকা পড়েছে। অন্য ফ্লোরেও লোক ছিলো।”

ভেঙে পড়া ভবন থেকে বেরিয়ে আসা এক গার্মেন্ট কর্মী জানান, ভবনের সপ্তম তলায় নিউ ওয়েভ বটমস লিমিটেড কাজ করছিলেন তিনি। তাদের কারখানায়ই সবচেয়ে বেশি মানুষ কাজ করছিলেন।

তিনি বলেন, সপ্তম তলায় এখনো অনেক শ্রমিক আটকা পড়ে আছেন। তারা ওই ফ্লোরের জানালার পাশে দাঁড়িয়ে বাঁচার জন্য আহাজারি করছে।

সকালে ভবন ধসের পরপরই স্থানীয়রা উদ্ধার তৎপরতায় এগিয়ে আসেন। এরপর ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন।

সাভার ক্যান্টনমেন্টের মেজর ফকরুল ইসলামের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল সেখানে উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে।

গভীর রাত পর্যন্তও উদ্ধার কার্যক্রম চলছিল। তখন পর্যন্ত শতাধিক লাশ বের করা হয়।

তবে আটকে পড়া অনেকে অক্সিজেনের সমস্যায় ভুগছিলেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাদের জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার ও খাবার নিয়ে ঢুকতে দেখা যায়।

রেডক্রস, গণস্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় ও সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা আহতদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দিতে ঘটনাস্থলের পাশেই অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প বসিয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক আলী আহম্মেদ জানান, ফায়ার সার্ভিসের ৩০০ থেকে ৪০০ কর্মী উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।