চীনের অপেক্ষায় কক্সবাজার বিমানবন্দরের উন্নয়ন

চীনের কাছ থেকে ঋণের টাকা হাতে পেলেই কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার কাজ শুরু করবে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

আশিক হোসেনবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 April 2013, 05:04 AM
Updated : 19 April 2013, 05:04 AM

কক্সবাজার বিমানবন্দরের মানোন্নয়নের এ প্রকল্পে একটি আন্তর্জাতিক মানের রানওয়ে এবং একটি টার্মিনাল ভবন নির্মাণ করার কথা।

বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মাহমুদ হোসেন বলেন, “বিমানবন্দরের মানোন্নয়নের জন্য প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা। এর পুরোটাই চীনের দেয়ার কথা রয়েছে। ১০ বছরে আমরা এ টাকা শোধ করার সুযোগ পাবো।”

টাকা হাতে আসা মাত্রই চীনের সঙ্গে সরকারি পর্যায়ে (জি টু জি) বিমানবন্দরের মানোন্নয়নের কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।

কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিকে উন্নীত করতে ইতোমধ্যে গত বছরের ২৫ অক্টোবর চীনের সঙ্গে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি করেছে বেবিচক।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্বের সময় নির্মিত বিমানবন্দরটির বর্তমান রানওয়ের দৈর্ঘ্য প্রায় ৬৭৭৫ ফুট। এছাড়াও বর্তমানে এটিতে কানেকটিং টেক্সিওয়ে, অ্যাপ্রোন ও একটি টার্মিনাল ভবন রয়েছে।

চীনের সঙ্গে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী, কাজ সম্পন্ন হলে রানওয়ের দৈর্ঘ্য উন্নীত হবে ৯০০০ ফুটে। আর  রানওয়ের প্রশস্ততা বৃদ্ধি পাবে ১৫০ ফুট থেকে ২০০ ফুটে, রানওয়ের শক্তি বৃদ্ধি করা হবে পিসিএন ১৯ থেকে ৭০- এ।

মানোন্নয়নের এ কাজে বিমানবন্দরে এয়ারফিল্ড গ্রাউন্ড লাইটিং, অগ্নি নির্বাপক গাড়ি কেনা, ডিভিওআর, ডিসট্যান্স মেজারমেন্ট ইক্যুইপমেন্ট (ডিএমই ), ইনস্ট্রুমেন্ট ল্যান্ডিং সিস্টেম (আইএলএস) স্থাপন, অটোমেটিক মেটিরিওলজিক্যাল অবজারভেশন সিস্টেম (এএমওএস) স্থাপন, টেক্সিওয়ে, অ্যাপ্রোন ও বোর্ডিং ব্রিজ নির্মাণ, আইএলএস, এয়ারট্রাফিক যোগাযোগ ব্যবস্থা, এএমওএসসহ ক্যাটাগরি-১ এ অপারেশনের জন্য লাইটিং স্থাপিত হওয়ার কথা রয়েছে।

পর্যটন নগরীর বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা হলে এটি হবে দেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।