শনিবার ক্লাস বর্জন করে তারা উপাচার্যকে স্মারকলিপিও দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করে দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক এস এম নজরুল ইসলাম।
গত মঙ্গলবার হলে ঢুকে কুপিয়ে আহত করা হয় যন্ত্র কৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা দীপকে।
শনিবার সকাল ১০টায় বুয়েট ক্যাম্পাসে গিয়ে শহীদ মিনার সংলগ্ন মূল ফটকে তালা ঝোলানো দেখা যায়।
বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা বুয়েটের নিরাপত্তা জোরদারসহ নয়টি দাবি জানিয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে- দীপের চিকিৎসার ব্যয় বিশ্ববিদ্যালয়কে গ্রহণ, হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষেকে বাদি হয়ে মামলা দায়ের, কোনো ছাত্র, শিক্ষক বা কর্মচারী হামলায় জড়িত থাকলে তাকে বহিষ্কার, নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেয়া, নিবন্ধক ও ছাত্র কল্যাণ উপদেষ্টার জবাবদিহি নেয়া, হলসহ পুরো ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদারে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, প্রশিক্ষিত নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ ইত্যাদি।
এই সব দাবি পূরণে দুপুরে মিছিল নিয়ে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেয় শিক্ষার্থীরা। তখন অধ্যাপক নজরুল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেন।
আহত দীপ রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার একটি চোখ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। হামলাকারীকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
হামলার তিন দিন আগে হেফাজতে ইসলামের লংমার্চকারীদের খাবার সরবরাহে হলের এক মসজিদের ইমামকে বাধা দিয়েছিলেন দীপ। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এই হামলা হয়েছে বলে শিক্ষার্থীদের ধারণা।
শহীদ স্মৃতি হলের মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দীপসহ শিক্ষার্থীরা গত শনিবার রাতেই ছাত্র কল্যাণ পরিষদের পরিচালক ড. দেলোয়ার হোসেনের কাছে দাবি জানায়।
ড. দেলোয়ার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিনি বিষয়টি জানার পরপরই ইমাম আব্দুল আলিমকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেন।
নিজের ছাত্রাবাস নজরুল ইসলাম হলে সকাল ১১টার দিকে হামলার শিকার হন দীপ। সেখানে একটি চাপাতি পেয়েছে পুলিশ।
হলের দারোয়ান মো. জাকির হোসেনকে (৪০) পুলিশকে জানিয়েছে, আনুমানিক ৩০ বছর বয়সী পাজামা-পাঞ্জাবি ও টুপি পরিহিত দাড়িওয়ালা এক ব্যক্তি এই হামলা করে পালিয়ে যায়।