“সাম্প্রদায়িক উস্কানিদাতা হিসেবে তাকে আগেই গ্রেপ্তার করা উচিত ছিল। তবে দেরিতে হলেও তাকে গ্রেপ্তার করায় সরকারকে অভিনন্দন।”
মাহমুদুর রহমান গ্রেপ্তার হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে গণজাগরণ মঞ্চের আরেক মুখপাত্র মারুফ রসুল বলেন, আইনি প্রক্রিয়ায় তার যথাযথ বিচারের মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পাবে।
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারকের কথিত স্কাইপ কথোপকথন প্রকাশ এবং রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে সকাল ৯টার দিকে আমার দেশ কার্যালয় থেকে মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আন্দোলনকারী গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠকদের সম্পর্কে বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রকাশ করে ধর্মীয় উস্কানি দিয়ে উন্মাদনা সৃষ্টির অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তারের দাবি তোলে গণজাগরণ মঞ্চ।
মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তারে সময় বেঁধে দেয়ার পাশাপাশি গত ২৬ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরের কাছে স্মারকলিপি দেয় তারা।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে শাহবাগে আন্দোলন শুরুর পর আমার দেশ পত্রিকাসহ কিছু গণমাধ্যমে গণজাগরণমঞ্চ সম্পর্কে নানা বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার ছড়ানো হয় বলে অভিযোগ তাদের।
মঞ্চের সংগঠকরা বলেন, হয়রত মোহাম্মদকে (স.) কটাক্ষ করে বিভিন্ন বক্তব্য কয়েকটি পত্রিকায় প্রচার করে গণজাগরণ মঞ্চকে জাতির কাছে ‘বিভ্রান্তিমূলকভাবে’ উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালানো হয়। মাহমুদুর রহমান কলাম লিখে তা সারা দেশে ছড়িয়ে দিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের উস্কে দেয়ার অপচেষ্টা চালান।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে এই আন্দোলনের কর্মী ও ব্লগার রাজীব হায়দার খুন হওয়ার পর তাকে নিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রচারণা চালানো হয়, রাজীব ইসলামের বিরুদ্ধে লিখতেন। ২২ ফেব্রুয়ারি আমার দেশের প্রধান প্রতিবেদনের শিরোনামে লেখা হয়- ‘ধর্ম ও আদালতের অবমাননা করছে ব্লগারচক্র’।