‘ইসলামের অবমাননা করছে জামায়াত’

ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, ভ্রান্ত ধারণায় বিশ্বাসী জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে থাকা আর অন্যায়ের সঙ্গে থাকা একই কথা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 March 2013, 04:19 AM
Updated : 29 March 2013, 07:16 AM
শুক্রবার রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বর এলাকায় দলের এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

পাঁচ দফা দাবিতে ডাকা চরমোনাই পীরের এই সংগঠনের সমাবেশে ‘নাস্তিক’ ব্লগারদের গ্রেপ্তারের উদ্যোগ নেয়া এবং ইসলাম অবমাননাকারীদের শাস্তির আইন করার দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, জামায়াতে ইসলামী দেশ, জাতি ও স্বাধীনতার জন্য হুমকি।

মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, জামায়াত মওদুদীর মতবাদে বিশ্বাসী। আর এ মতবাদের মাধ্যমে সঠিক ইসলাম জানা সম্ভব নয়। তাই এ মতবাদে ইসলাম প্রচার করা বন্ধ করতে হবে।

“জামায়াত-শিবির সারা দেশে নৈরাজ্য করছে তা ইসলামের অবমানমনা এবং এই দায় অন্যান্য দলগুলোর ওপর পড়ছে। এ কারণে তাদের পরিত্যাগ করতে হবে।”

সমাবেশে ইসলামী আন্দলনের আমীর সৈয়দ রেজাউল করিম (চরমনাই পীর) দলের কিছু কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, আগামী ৫ এপ্রিলের মধ্যে ‘নাস্তিক’ ব্লগারদের গ্রেপ্তারের উদ্যোগ না নেয়া হলে ৬ মার্চ হেফাজতে ইসলামীর ডাকে ঢাকামুখী যে লং মার্চ আছে তাতে সমর্থন জানানো হবে।

সারাদেশে আলেমদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, “ইসলামের বন্ধুদের গ্রেপ্তার করবেন না। তাদের মুক্তি দিন।”

ইসলাম অবমাননাকারীদের শাস্তির আইন করার দাবি জানান তিনি। এ দাবিতে আগামী ২৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

এছাড়া ১৯-২১ এপ্রিল ঢাকা থেকে কুয়াকাটা লংকার্চ, ১৩-১৫ মে ঢাকা থেকে তেতুলিয়া লংমার্চ, ২ ও ৩ জুন ঢাকা থেকে সিলেট লংমার্চ ও ১লা মে ঢাকায় শ্রমিক জনতা মহাসমাবেশের ঘোষণা দেয়া হয়।

সমাবেশে মিয়ানমারে মুসলিমদের ওপর হত্যা, নির্যাতনের প্রতিবাদ জানায় ইসলামী আন্দোলন।

মিয়ানমারে মুসলিমদের ওপর ‘গণহত্যা’ চালানো হচ্ছে এবং সেখানে মসজিদ ও মুসলিমদের বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে অভিযোগ করে এর প্রতিবাদে আগামী ৪ এপ্রিল জাতিসংঘ কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেবে দলটি।

মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে আগামী ৮ ও ৯ মে মিয়ানমার অভিমুখে লং মার্চের ঘোষণা দিয়েছে তারা।

সৈয়দ রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে বেলা ২টায় এই সমাবেশ শুরু হয়। এ সময় পল্টন মোড়, গোপীবাগ ও মতিঝিল সংলগ্ন সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

মতিঝিল থানার ওসি হায়াতুজ্জামান বলেন, “সমাবেশকারীরা আমাদের কথা দিয়েছেন তারা কোনা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করবেন না। তাই তাদের সমাবেশ করার অনুমতি দেয়া হয়েছে।”

নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখেই কিছু রাস্তা বন্ধ রাখা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।