মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দাবি বীরাঙ্গনাদের

একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নির্যাতিত নারীরা মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি চেয়েছেন সরকারের কাছে।

গোলাম মুজতবা ধ্রুবমামুনুর রশীদ ওবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 March 2013, 07:09 AM
Updated : 26 March 2013, 09:44 AM

সিরাজগঞ্জ থেকে আসা ১০ জন বীরাঙ্গনা মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টায় শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানান।

দেশের স্বাধীনতার জন্য যেসব নারী নিজেদের সম্ভ্রম হারিয়েছেন, তাদের ‘বীরাঙ্গনা’ উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত সেইসব নারীদের পক্ষে প্রজন্ম চত্বরের সমাবেশে দেয়া বক্তব্যে বীরাঙ্গনা সূর্য বেগম একাত্তরের সব যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির দাবি জানান।

সেইসঙ্গে তিনি নিজেদের [মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত নারীদের] মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, “আমরাও মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে স্বীকৃতি চাই। আমার ছেলে যেন বলতে পারে যে, সে একজন নারী মুক্তিযোদ্ধার ছেলে।”

সমবেত জনতা তখন স্লোগান দিতে থাকে, ‘বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি- দিতে হবে, দিতে হবে’।

বীরাঙ্গনা সূর্য বেগম আরো বলেন, “আমার বঙ্গবন্ধু থাকলে আজ আমাদের কোনো কষ্ট থাকত না। একাত্তরে তিনিই আমাদের সবার দায়িত্ব নিয়েছিলেন।

“আমাদের মাথায় হাত রেখে বলেছিলেন, মা-আপনারা চিন্তা করবেন না। আমি বেঁচে থাকতে আপনাদের কোনো বিপদ হবে না।”

একথা বলতে গিয়ে তিনি কেঁদে ফেলেন।

সমাবেশে আসা বীরাঙ্গনা রাহেলা বাওয়া বলেন, “যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি ছাড়া কোনো বিচার আমরা মানি না। বাংলাদেশে আমরা ওদের দেখতে চাই না, আমরা মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি চাই।”

সিরাজগঞ্জ থেকে আসা অন্য বীরাঙ্গনারা হলেন-রাহেলা বেগম, করিমন বেগম, নূরজাহান, রাজু বালা, আয়েশা বেগম, শামসুন্নাহার, রহিমা এবং জোসনা।

সাদা শাড়ি পরে সমাবেশ মঞ্চের সামনেই অবস্থান নেন বীরাঙ্গনারা।

বিকালে সমাবেশ শুরুর কিছুক্ষণ পরেই সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু মঞ্চে বীরঙ্গনাদের পরিচয় করিয়ে দেন।

এর আগে মঞ্চে গণসংগীত পরিবেশন করে ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী।