খুলনায় মন্দির ও সংখ্যালঘুদের বাড়ি-দোকান ভাংচুর

খুলনার দৌলতপুরে মন্দির ও সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর-দোকানপাট ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা।

খুলনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 March 2013, 00:25 AM
Updated : 19 March 2013, 11:51 AM

সোমবার রাতে নগরীর বণিকপাড়া পাবলা সার্বজনীন কালীবাড়ী মন্দির এবং এর আশেপাশের বাড়ি ও দোকানে এ হামলা চালানো হয় বলে পুলিশ জানায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সাড়ে ৯টার দিকে দেড়শতাধিক যুবক লাঠিসোটা ও রামদা নিয়ে কালীবাড়ী মন্দিরটি ঘিরে ফেলে এবং প্রধান ফটক ভাঙ্গার চেষ্টা চালায়।

“ফটক ভাঙ্গতে না পেরে তারা দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকে মন্দিরের টাইলস ও কাঁচ ভাংচুর করে। এ সময় তারা দু’টি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।”

এরপর তারা আশুতোষ সাধু, সাধন সাধু, মন্টু ও পশুপতি ঘোষের বাড়ি, হাকিম সরদারের বাড়ি, মৌচাক টাওয়ার ও কবীর সাহেবের বাড়ির হিন্দু ভাড়াটিয়াদের ঘর ভাঙচুর করে।

হামলাকারীরা মিহির দত্ত, ফুল সাহা, অনুপ, বিশু, নিতাই, সুভাষ ও খোকনের দোকান ভাংচুর করে। বাধা দিতে গেলে মুদি দোকানদার খোকনকে কুপিয়ে আহত করে তারা।

হামলা শুরুর পর পুলিশ সময়মতো আসেনি বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন।

এ অভিযোগ অস্বীকার করে দৌলতপুর থানার ওসি মোঃ আখতার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হামলার খবর পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। সেখান থেকে দুই যুবকে আটক করেছি।”

আটক হুমায়ুন কবির (২৬) ও আরমানকে (১৮) জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে জড়িত অন্যদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলেছে।”

হামলার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শণে যান খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা।

ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুণ্ডু বলেন, “সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য একটি অপশক্তি পরিকল্পিতভাবে মন্দির ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর হামলা চালাচ্ছে।”

হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে করা না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুমকি দেন তিনি।

এই হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় মন্দিরের সামনে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।