রাজশাহীতে শিবিরের হামলায় ১০ পুলিশ আহত

বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের ৩৬ ঘণ্টা হরতালের দ্বিতীয় দিন সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর ফটকের সামনে ও মালোপাড়ায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছে ইসলামী ছাত্র শিবির ও বিএনপি কর্মীরা।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 March 2013, 09:37 PM
Updated : 19 March 2013, 00:48 AM

বিনোদপুরে শিবির কর্মীদের ছোড়া হাতবোমা ও ইটের আঘাতে দশ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। আর মালোপাড়ায় আহত হয়েছেন আরো দশজন।

পরে পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিনোদপুরের তিনটি ছাত্রাবাস থেকে আটক করা হয় ৬১ জনকে।

পুলিশের মতিহার জোনের সহকারী কমিশনার আবুল হাসনাতসহ আহত পাঁচ পুলিশ সদস্যকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিনোদপুর ও মোলোপাড়ায় মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ।

আহত সহকারী কমিশনার আবুল হাসনাত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মঙ্গলবার সকালে পৌনে ৭টার দিকে বিনোদপুর মণ্ডলের মোড় এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ওপর তিন দিক থেকে হামলা চালায় শিবির কর্মীরা।

“তারা ৩০-৪০টি হাতবোমা ফাটায়  এবং বৃষ্টির মতো ঢিল ছুড়তে শুরু করে।”

প্রায় আধ ঘণ্টা সংঘাতের পর পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে মতিহার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল মজিদ জানান।

সংঘর্ষে ১৫ শিবির কর্মী আহত হন বলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের এক নেতা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।

এদিকে শহরের কাদিরগঞ্জ মোড় থেকে বিএনপি ও ছাত্রদল নেতাকর্মীরা একটি মিছিল বের করলে মালোপাড়া এলাকায় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় ছাত্রদল কর্মীরা ঢিল ছুড়তে শুরু করলে শুরু হয় সংঘর্ষ।   

পরে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি জিয়াউর রহমান জিয়া। সংঘর্ষের সময় আহত হন অন্তত দশজন। 

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পুলিশ আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা চালিয়ে নেতাকর্মীদের আহত করেছে।”  

হরতালের মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও মিছিল করে ছাত্রদল কর্মীরা। এ সময় তারা চারটি হাতবোমা ফাটায় বলে মতিহার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল মজিদ জানান।

সংঘর্ষের পর সকাল ৯টার দিকে বিনোদপুর এলাকায় তিনটি ছাত্রাবাস থেকে জামায়াত-শিবির কর্মী সন্দেহে ৬১ জনকে আটক করে পুলিশ।

সোয়া ১০টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে মহানগর পুলিশ কমিশনার মনির-উর-জামান বলেন, “সিদ্দিক ছাত্রাবাস, সরকার ছাত্রাবাস ও প্রীতি ছাত্রাবাস থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে হাতবোমা ছোড়া হয়েছে।”

ছাত্রাবাস তিনটি জামায়াত-শিবির নিয়ন্ত্রিত বলে জানান তিনি।