প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাইনুদ্দিন খন্দকারকে প্রধান করে বুধবার এই কমিটি করা হয়েছে।
কমিটি খুব শিগগিরই কাজ শুরু করবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, এই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
কমিটি যে কোনো বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে সহায়তা নিতে পারবে| তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সাচিবিক সহায়তা দেবে।
অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য ও তার ভিত্তিতে গৃহীত পদক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরকে অবহিত করবে কমিটি।
কমিটিতে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), আইন ও বিচার বিভাগ, তথ্য মন্ত্রণালয়, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, এনএসআই ও ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক এবং পুলিশের (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) অতিরিক্ত ডিআইজিকে রাখা হয়েছে।
তবে গণজাগরণ মঞ্চ থেকে এর প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়েছে, কোনো ধর্মের মানুষের অনুভূতিতে আঘাত হানার কোনো উদ্দেশ্য ও তৎপরতা তাদের নেই, যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে জামায়াতেই ইসলামীকে নিষিদ্ধের দাবি রয়েছে তাদের।
নিহত আহমেদ রাজীব হায়দারের কথিত ব্লগের লেখাকে ‘অনৈসলামিক’ বলে ওই সংবাদ মাধ্যমগুলো খবর প্রকাশের পর বিভিন্ন ইসলামী দল শাহবাগ আন্দোলনের বিরোধিতায় নামে।
গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরোধিতাকারী জামায়াত-শিবির মিথ্যা প্রচার চালিয়ে সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে ব্যবহার করে দেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার উস্কানি দিচ্ছে।