চট্টগ্রাম গণজাগরণ মঞ্চের সমন্বয়কারী শরিফ চৌহান বলেন, “শান্তিপূর্ণভাবে বুধবারের কর্মসূচি পালিত হোক এবং চট্টগ্রামে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ করুক এটা আমরা সকলেই চাই। আমাদের কর্মসূচি অহিংস ও শান্তিপূর্ণ।”
শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ থেকে ১৩ মার্চ চট্টগ্রামে সমাবেশের ঘোষণা দেয়ার পর ওইদিন চট্টগ্রামে হরতাল ডাকে হেফাজতে ইসলাম। পাশাপাশি একই স্থানে সমাবেশ করার ঘোষণাও দেয় তারা।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বন্দর নগরীর জামালখানে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বর, পুরাতন রেল স্টেশন ও লালদীঘির মাঠ সংলগ্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।
গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে হেফাজত ইসলামের প্রতি হরতাল প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়েছে।
গণজাগরণ মঞ্চ জানিয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার নিশ্চয়তা না পেলে রাতে মহাসমাবেশ নিয়ে চূড়ান্ত কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
গণজাগরণের আন্দোলন কোনো ধর্মীয় সংগঠনের বিরুদ্ধে নয় উল্লেখ করে শরিফ চৌহান বলেন, “শুধুমাত্র যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি এবং যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করার দাবিতে আমাদের এই অহিংস আন্দোলন।”
এই মঞ্চ থেকে ধর্মের বিরুদ্ধে কোনো বক্তব্য দেয়া হয়নি জানিয়ে আলেমদের প্রতি হরতাল প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলন থেকে প্রশাসনকে বুধবার বন্দরনগরী চট্টগ্রামের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার আহ্বান জানিয়ে নেতারা বলেন, এজন্য প্রশাসনকে গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহায়তা করা হবে।
চট্টগ্রামে ১৩ মার্চের সমাবেশ হলে সেটি হবে ঢাকার বাইরে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম সমাবেশ। চট্টগ্রামের পরে আগামী ১৫ মার্চ ঢাকার আশুলিয়ায় আরেকটি সমাবেশ কর্মসূচি রয়েছে গণজাগরন মঞ্চের।
যুদ্ধাপরাধী আব্দুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন সাজার রায় প্রত্যাখ্যান করে গত ৫ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থেকে শুরু হয় গণজাগরণ আন্দোলন। এই আন্দোলনের মুখে যুদ্ধাপরাধের যে কোনো রায়ের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আপিলের সমান সুযোগ রেখে আইন সংশোধন করে সরকার।
জামায়াত নিষিদ্ধসহ আরো পাঁচটি দাবি রয়েছে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের।