শিবির নেতা রানার ‘পরিকল্পনায়’ রাজীবকে খুন

বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বড়ভাই’ শিবির নেতা রানার পরিকল্পনা ও নির্দেশনা অনুযায়ী ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ ছাত্র।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 March 2013, 10:42 AM
Updated : 28 Jan 2014, 11:55 AM

রানা নামে এই শিবির নেতা পলাতক রয়েছেন। 

রোববার দুপুর ১টা থেকে থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ঢাকার মহানগর হাকিম হারুন অর রশীদ এই পাঁচ আসামির ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি নথিভুক্ত করেন।

সাত দিনের রিমান্ড শেষে এই পাঁচ আসামি স্বেচ্ছায় আদালতে কাছে দোষ স্বীকার করতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক মাঈনুল ইসলাম তাদের আদালতে হাজির করেন।

পরে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি উদ্ধৃত করে ডিবি পরিদর্শক মাঈনুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ব্লগার রাজীব হায়দারকে হত্যার আগের দিন তার বাড়ির সামনে ক্রিকেট খেলেছিলো ‘ইন্টেল গ্রুপের’ সদস্যরা।

এরা হলেন এহসানুর রেজা রোমান, মাকসুদুল হাসান অনিক, নাঈম সিকদার ।

সেদিন তারা রাজীবের পরিচয় এবং বাড়ির ঠিকানা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে তার বাড়ির সীমানা প্রাচিরের ভেতরে ক্রিকেট বল ফেলে, পরে বাসায় ঢোকে।

আর রাজীব হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় ‘এক্সিকিউশন গ্রুপের’ সদস্য ফয়সাল বিন নাঈম ও নাফিস ইমতিয়াজ ।

তিনি বলেন, ‘থাবা বাবা’ নামে রাজীব সামহোয়ার ইন ব্লগে লেখালেখি করতেন। সেখানে তার নিজের ছবি ছিলো না। যে কারণে হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া এই আসামিরা প্রথম দিকে রাজীবকে চিহ্ণিত করতে পারছিলেন না।

পরবর্তীতে রাজীবের ফেইসবুক ঘাটাঘাটি করে রাজীবকে চিহ্ণিত করা হয়।

জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আদালত পুলিশের কর্মকর্তার মোকসেদ আলী।

এই পাঁচজনকে ১ মার্চ ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। নর্থ সাউথের এই ছাত্ররা রাজীব হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেয়ার কথা ইতোমধ্যে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।

তাদের কাছ থেকে দুটি চাপাতি, চারটি চাকু, একটি বাইসাইকেল, এক জোড়া কেডস, সাতটি বিভিন্ন ধরনের মোবাইল ফোনসেট এবং একটি স্কুল ব্যাগ উদ্ধার করা হয়।

গত ৩ মার্চ নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ ছাত্রকে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেয় আদালত।  আর রাজীবকে হত্যা করা হয় ১৫ ফেব্রুয়ারি।