কয়রা থানার ওসি ফজলুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, হরতালে-ভাংচুরের মামলার এক আসামিকে ধরতে শনিবার রাত দেড়টার দিকে ১০/১২ জন পুলিশের একটি দল কয়রার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের গোলখালি গ্রামে যায়।
সেখানে বনি নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করলে জামায়াত-শিবির কর্মীরা পুলিশের ওপর আক্রমণ চালায় এবং আসামিকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
“এক পর্যায়ে পুলিশের ওপর গুলি ছুড়ে আসামি বনিকে ছিনিয়ে নেয় জামায়াত-শিবির কর্মীরা। এ সময় কনস্টেবল মফিজুরের হাঁটুতে গুলি লাগে। আরো ৪-৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হন।”
মফিজুরকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেয়ার পথে আংটিহারা এলাকায় জামায়াত-শিবিরকর্মীরা আবার অবরোধ সৃষ্টি করে। সেখানে দীর্ঘ সময় আটকে থেকে রক্তক্ষরণে দুর্বল হয়ে পড়েন আহত এই কনস্টেবল। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মফিজুরকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান ওসি।
খুলনার সহকারী পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) আব্দুল কাদের বেগ চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই মৃত্যু হয়েছে কনস্টেবল মফিজুরের। তার মরদেহ খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।