আহত সানিউর রহমানকে (২৮) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি আশঙ্কামুক্ত বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পূরবী প্রেক্ষাগৃহের কাছে সানিউর ছুরিকাহত হন বলে জানান পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিপ্লব কিশোর শীল।
সানিউরের বাসা রূপনগর ইস্টার্ন হাউজিংয়ে। তিনি ওই সময় বাসায় ফিরছিলেন।
স্থানীয়রাই সানিউরকে উদ্ধার করে কাছের একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। পরে তাকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেলে।
সানিউর হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, “আমি ফার্মগেইট থেকে রওনা হয়ে পূরবী সিনেমা হলের সামনে বাস থেকে নামি। এরপর হেঁটে বাসায় যাওয়ার সময় পাঞ্জাবি পরা দুই যুবক আমাকে আক্রমণ করে। তাদের মুখে দাড়ি ছিল।”
হামলাকারীরা একই বাসেই পূরবী বাসস্ট্যান্ডে নেমেছিল বলে ধারণা করছেন তিনি।
অনলাইনে সাম্প্রদায়িকতা ও জামায়াত-শিবিরবিরোধী লেখালেখি করতেন বলে জানান সানিউর।
সানিউরের লেখালেখি চোখে পড়ার বিষয়টি জানিয়েছেন ব্লগার আসিফ মহিউদ্দীনও, যিনি প্রায় দুই মাস আগে একই ধরনের হামলায় পড়েছিলেন ঢাকার উত্তরায়।
আসিফ তার ফেইসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন- “ফেইসবুকে নিয়মিতই লেখালেখি করতেন (সানিউর)। আমার সাথে দু'একবার দেখাও হয়েছে, খুবই ভদ্র-মার্জিত স্বভাবের একজন তরুণ।
“তিনি শাহবাগ আন্দোলনের সমর্থক ও কর্মী ছিলেন এবং জামাত-শিবির, হিযবুত তাহরীরের মতো ধর্মভিত্তিক দলগুলোর সবসময় কঠোর সমালোচনা করেছেন।”
তবে শাহবাগ আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ব্লগার মাহমুদুল হক মুন্সী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সানিউরের সঙ্গে তাদের পরিচয় ছিল না।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার ইমতিয়াজ আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শুনেছি সানিউর একজন ব্লগার। ছুরিকাঘাতে তিনি আহত হলেও আশঙ্কামুক্ত।”
হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ মাঠে নেমেছে বলে জানান তিনি।
রাজীব হত্যায় জড়িত অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, যারা হত্যাকাণ্ড সংঘটনের কথা স্বীকারও করেছেন।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই পাঁচ ছাত্রের স্বীকারোক্তি, ব্লগে কথিত ইসলামবিরোধী লেখালেখির জন্য তারা রাজীবকে হত্যা করেন এবং তাদের প্ররোচিত করেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক এক নেতা।
গণজাগরণ আন্দোলন থেকে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের দাবি উঠেছে।
জামায়াত ও শিবির অবশ্য রাজীব হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।