পশ্চিমবঙ্গে সতর্কতা

জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করতে পারে- এমন আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার।

কলকাতা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Feb 2013, 04:37 AM
Updated : 28 Feb 2013, 06:44 AM

যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায়ের পর বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে এই সতর্কতা জারির খবর এলো।

পশ্চিমবঙ্গের একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বেশকিছু নেতাকর্মী, যারা সহিসংতার মামলার আসামি, সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করার চেষ্টা করতে পারে বলে গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছেন তারা।

“নাশকতাকারীরা যাতে আমাদের দেশে ঢুকতে না পারে সে জন্য সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সন্দেহভাজন কেউ আটক হলে তাকে বাংলাদেশর কাছে হস্তান্তর করতে পুলিশ ও সীমান্তরক্ষীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।”

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান নপারাজিত মুখার্জি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়েই এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

“আমরা প্রতিবেশী রাষ্ট্র। সুতরাং বিপর্যয় এড়াতে যে কোনো প্রস্তুতি আমাদের নিতে হবে।”

ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারকে চাপে ফেলতে পশ্চিমবঙ্গের কিছু ইসলামী মৌলবাদীও জামায়াতে ইসলামীকে সহায়তা করতে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা চালাতে পারে।

এ বিষয়েও নিরাপত্তারক্ষীদের সতর্ক করা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানান।

হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, নির্যাতন ও ধর্মান্তরে বাধ্য করার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে বৃহস্পতিবার জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

রায়ের সঙ্গে সঙ্গে ট্রাইব্যুনালের বাইরে অপেক্ষমাণ মুক্তিযোদ্ধা, শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চে উপস্থিত হাজারো জনতাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় উল্লাস।

অন্যদিকে রাজশাহী, চট্টগ্রাম, রংপুর, বগুড়াসহ বিভিন্ন স্থানে জামায়াত-শিবির কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা ও সহিংসতা শুরু করে। 

একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামী শুরু থেকেই ট্রাইব্যুনালের বিচারের বিরোধিতা করে এলেও গত কিছুদিন ধরে দলটির নেতাকর্মীরা সারা দেশে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাংচুরসহ বিভিন্নভাবে সহিংসতায় জড়াচ্ছে।