সোমবার মিরপুর ১০ নম্বর গোল চক্করে হাজারো মানুষের সমাবেশে তিনি একথা বলেন, যে সমাবেশে একাত্তর হত্যা-ধর্ষণ-লুটপাটের জন্য জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়।
একাত্তরে মিরপুরেই শত শত মানুষকে গণহত্যা করার জন্য জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লা ‘কসাই কাদের’ হিসেবে পরিচিতি পান।
মুফতি মাহবুবুর রহমান বলেন, “এদেশের কোনো আলেম জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে না।
“এদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা শত শত মুসলিমকে হত্যা করেছে, সম্পদ লুণ্ঠন করেছে, নারীদের ধর্ষণ করেছে, এদেশের আলেম সমাজ তাদের বিচার চায়। তারা ইসলামের শত্রু, এদেশের শত্রু।”
শাহবাগে ‘অনৈসলামিক’ কাজ চলছে বলে জামায়াতকর্মীদের প্রচারের পর কয়েকটি ইসলামী দল গণজাগরণ আন্দোলনের বিরুদ্ধে কর্মসূচি দিয়েছে।
গণজাগরণ মঞ্চের উদ্যোক্তাদের দাবি, ধর্মীয় বিশ্বাসকে পুঁজি করে জামায়াতে ইসলামী বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।
জামায়াত গঠনের ইতিহাস, দলের মতাদর্শিক গুরু আবুলে আলা মওদুদীকে পাকিস্তানের আদালতে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার তথ্য তুলে ধরে মুফতি মাহবুবুর রহমান বলেন, “মওদুদীবাদের সঙ্গে উপমহাদেশের আলেমদের কোনো সম্পর্ক নাই, মওদুদীবাদের উত্তরসূরি জামায়াতের সঙ্গেও ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই।”
এদিকে রাত ৯টার দিকে ওলামা-মাশায়েখ ঐক্য পরিষদের একটি দল শাহবাগে গিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে একাত্মতা জানান।
পরিষদের সভাপতি মাওলানা আব্দুল হালিম আন্দোলনকারীদের দেশপ্রেমিক আখ্যা দিয়ে বলেন, জামায়াত অপপ্রচার চালাচ্ছে।
মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী দল জামায়াত ইসলামের আদর্শ লালন করে না বলেও দাবি করেন তিনি।