এই মোর্চার নেতা ও খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির আহমেদুল্লাহ আশরাফ বলেন, “হযরত মোহাম্মদকে (সা.) নিয়ে ব্লগারদের কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে আমরা শুক্রবার জুমার নামাজের পর শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ তাতে বাঁধা দিয়ে আমাদের কর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে। হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে।
“এর প্রতিবাদে আমরা রোববার সকাল সন্ধ্যা হরতাল পালন করব।”
খেলাফত আন্দোলনের সাংগঠিনিক সম্পাদক ফখরুল ইসলাম বলেন, রোববার হরতালের পর সোমবার আবার সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবেন তারা।
শুক্রবার জুমার নামাজে পর রাজধানীর বায়তুল মোকাররম, পল্টন ও কাঁটাবন, মিরপুর, ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় শাহবাগের গণজাগরণবিরোধীরা, যার পেছনে জামায়াতের ইন্ধন দেখছে পুলিশ।
হামলা-সংঘর্ষ হয় চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়ও। চট্টগ্রাম ও সিলেটে জাগরণমঞ্চে হামলা হয়। সিলেটে ভাংচুর করা হয় শহীদ মিনার। হামলার অন্যতম লক্ষ্য ছিলেন সংবাদ কর্মীরাও।
ইসলামী ১২ দলের কর্মসূচিকে ব্যবহার করে জামায়াতে ইসলামী কর্মীরা এই সহিংসতা চালিয়ে থাকতে পারে ধারণা করছে পুলিশ।