শাহবাগ আন্দোলনের কর্মী খুন

রাজধানীর পল্লবীর লালমাটিয়ায় আহমেদ রাজীব হায়দার (২৬) নামে এক স্থপতি ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট খুন হয়েছেন, যিনি শাহবাগে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে গণআন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Feb 2013, 11:28 AM
Updated : 16 Feb 2013, 00:12 AM

শুক্রবার রাতে পলাশনগর প্রধান সড়কের পাশে রাজীবের বাসার কাছেই তার লাশ পড়ে ছিল। পাশে পড়ে ছিল তার ল্যাপটপ।

পল্লবী থানার ওসি আব্দুল লতিফ শেখ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, রাত ৯টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ লালমাটিয়া পলাশনগর প্রধান সড়কের কাছ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।

তার মুখে জখমের চিহ্ন রয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় ও মুখে কুপিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। মৃতদেহের গলায় গামছা পেচানো ছিল।

তিনি জানান, রাজীবের বাসা ৫৬/৩ পলাশনগরে। বাসার কাছাকাছিই তাকে হত্যা করা হয়।

রাজীবের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর শাহবাগের গণজাগরণের মঞ্চ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়।

তাকে গণআন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে উল্লেখ করে হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।

শাহবাগ আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট নেটওয়ার্কের ইমরান এইচ সরকার বলেন, “মিরপুরে আমাদের একজন ব্লগার খুন হয়েছেন। আমাদের ওপর আঘাত এসেছে। এ অবস্থায় আমরা রাজপথ ছাড়তে পারি না। আমরা রাজপথ ছাড়বো না।”

এরপর ব্লগার রাজীব হায়দারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শাহবাগের সমাবেশ থেকে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

শ্লোগান উঠে, “রাজীব ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না।”

পল্লবী থানার উপ-পদির্শক মতিয়ার রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে জানান, রাজিব একটি হাউজিং প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। বিকেল সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত শুভ ও তার ছোট ভাই নোবেল বাসায় ছিলেন। এরপর রাজিব বাইরে বের হন।

রাজীবের স্বজনরা জানান, তিনি নিয়মিত ব্লগ লিখতেন। কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে শাহবাগে আন্দোলনে প্রথম দিন থেকেই সক্রিয় ছিলেন তিনি।

ফেইসবুকে আহমেদ রাজিব হায়দারের আইডি ‘থাবা বাবা’। শুক্রবার দুপুর তিনটার দিকে শেষ ‘স্ট্যাটাস’ এ জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠানগুলো বর্জনের আহ্বান জানান তিনি।

“কোথায় কিভাবে বর্জন করতে হবে তার রুপরেখা নির্ধারন করাটা খুব জরুরী।…. কারন জামাতি প্রতিষ্ঠান বলে যাদের বয়কট করবো, তার মালিকানা রাতারাতি বদলে যেতে পারে... সিম্পল শেয়ার আদান প্রদানেই মালিকানা বদলে যাবে!

তিনি লেখেন, “তবে আমার জায়গা থেকে একটা জিনিস আমি বলতে পারি, পরিচিত জামাত সংশ্লিষ্ট পন্য ও প্রতিষ্ঠান যার যার জায়গা থেকে বর্জন করুন, যেমন তাদের মূল কাগজ সংগ্রাম বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-কোচিং ও তাদের সাংস্কৃতিক সংগঠন।”