রায় জামায়াতের সঙ্গে আঁতাতে: কাদের সিদ্দিকী

যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন সাজার রায় সরকারের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী আঁতাতের ‘ফল’ বলে দাবি করেছেন কাদের সিদ্দিকী।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Feb 2013, 07:31 AM
Updated : 9 Feb 2013, 07:42 AM

তিনি শনিবার দলের কাউন্সিলের উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্যে এই দাবি করেন।

রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল হচ্ছে। 

কাদের সিদ্দিকী বলেন, “সরকার আবার ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য জামায়াতের সঙ্গে আপস করে কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে।”

জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন সাজার রায় প্রত্যাখ্যান করে সারাদেশে বিক্ষোভ চলছে। ঢাকার শাহবাগে চলছে টানা অবস্থান কর্মসূচি।

কাদের মোল্লার এই রায় সরকারের সঙ্গে জামায়াতের ‘আঁতাতের’ কারণে হয়েছে বলে কেউ কেউ দাবি করলেও দল দুটির পক্ষ থেকে এই ধরনের খবর নাকচ করা হয়েছে।

শাহবাগে গিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের নাজেহাল হওয়ার জন্য বিএনপি ও আওয়ামী লীগকে দায়ী করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, এই দুই দল রাজনীতিকে ‘ধ্বংস’ করেছে।

জামায়াতকে জোটে রাখায় বিএনপি ‘রাজাকার’ হয়ে গেছে মন্তব্য করে কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরকেও ‘রাজাকার’ অাখ্যায়িত করেন।

তিনি বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের সময় মহীউদ্দীন খান আলমগীর ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) ছিল কীভাবে?

“তিনি যে রাজাকার ছিলেন, তার প্রমাণ আমি দিতে পারব।”

বিএনপি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ‘রাজাকার’ আখ্যাদানকারী কাদের সিদ্দিকী দিগন্ত টেলিভিশনের একটি অনুষ্ঠান করেন, যে চ্যানেলটিকে জামায়াত মালিকানাধীন বলে বর্জনের ডাক দেয়া হয়েছে শাহবাগের সমাবেশ থেকে।

কাউন্সিলে বিকল্প ধারার সভাপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী শাহবাগের তারুণ্যকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “মুক্তিযুদ্ধে তরুণরা জেগেছিল, আজও শাহবাগে তরুণরা জেগে ‍উঠেছে।”

তবে শাহবাগের আন্দোলন ‘আওয়ামীকরণ’ হচ্ছে অভিযোগ করে রাজনীতিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এটা করবেন না। তরুণরা এখানে জড়ো হয়েছে। তাদেরকে তাদের আন্দোলন করতে দেন।

“প্লিজ ডোন্ট ডু ইট (দলীয়করণ)”

বিএনপির সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ আল নোমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিলেও শাহবাগের আন্দোলন নিয়ে কোনা কথা বলেননি।

তিনি বলেন, “দেশ আজ সর্বগ্রাসী সঙ্কটে, আর এই সঙ্কট সৃষ্টি করেছে সরকার।”

কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের এই কাউন্সিলে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, আসম আবদুর রব, মোস্তফা মহসিন মণ্টু ও মাহমুদুর রহমান মান্না বক্তব্য দেন।