পল্টনে শিশু হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার ৬, লাশ নিয়ে মানববন্ধন

পল্টনে বাণিজ্যিক ভবনে নিহত শিশু হত্যাকাণ্ডে দায়ীদের শাস্তি দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Jan 2013, 06:50 AM
Updated : 20 Jan 2013, 07:43 AM

রোববার শিশুটির জানাজার পর লাশ নিয়েই এই মানববন্ধন হয়, যাতে অংশ নেয় কয়েকশ মানুষ।

এদিকে এই শিশু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিতে আদালতে আবেদন জানিয়েছে পুলিশ। শিশুটির মা নূরজাহান বেগম একটি মামলা করেছেন।

শনিবার দুপুরে পুরানা পল্টন মোড়ের বাণিজ্যিক ভবন ট্রপিকানা টাওয়ারের চতুর্থ তলার একটি টয়লেট থেকে রিতু আক্তার নামে ১১ বছরের ওই শিশুর গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।

ধারণা করা হচ্ছে, ধর্ষণের পর শিশুটিকে হত্যা করা হয়। শিশুটি ওই ভবনের ট্রাভেল এজেন্সির কয়েকজন কর্মীকে রান্না করা খাবার পৌঁছে দিত।

রিতু হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে রোববার বিকাল সাড়ে ৪টার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন হয়।

মানববন্ধনে অংশ নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন বলেন,  “আমরা আর ধর্ষণ-হত্যা দেখতে চাই না। যারা এ জাতীয় অপরাধ করে, তারা মানুষ নয়, পশু। এ সব ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্য।”

ময়নাতদন্তের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে শিশুটির লাশ প্রেসক্লাবের সামনে নেয়া হয়। জানাজা ও মানববন্ধনের পর রিতুকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।

শাহবাগ থাকার পরিদর্শক (তদন্ত) এম এ জলিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এই হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন হিসেবে এই পযর্ন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নিহতের মা নুরজাহানের মামলায় আসামির তালিকায় কারো নাম দেয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।

গ্রেপ্তার ছয়জন হলেন- নজরুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা, সেলিম বিশ্বাস, শাহাবুদ্দিন, ইস্কানদার আলী ও নুরুল ইসলাম।

এদের মধ্যে প্রথম তিনজন ট্রাভেল এজেন্সির কর্মচারী। বাকি তিন জনের মধ্যে একজন ভবন ব্যবস্থাপক এবং অন্য দুজন নিরাপত্তকর্মী।

এই ছয়জনের প্রত্যেককে সাত দিন করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক নাজিম উদ্দিন।

আবেদনে বলা হয়, কারা কারা রিতু হত্যাকাণ্ডে জড়িত রয়েছে তাদের খুঁজে বের করতে আসামিদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

হাকিম শামসুল আরেফিন সোমবার এই আবেদনের শুনানির জন্য দিন রেখেছেন।