‘বাংলাদেশ হয়েছে বলেই এতো মাতব্বরি’

বাংলাদেশ হয়েছে বলে কারো কারো ‘মাতব্বরি’ বেড়ে গেছে- সাংবাদিকদের তিরস্কার করে এজলাসে এমন মন্তব্য করেছেন যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Jan 2013, 12:40 PM
Updated : 25 Oct 2021, 11:28 AM

বুধবার একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে ট্রাইব্যুনাল নির্দেশনা দেয়ার পর পরই তাকে এ কথা বলতে শোনা যায়।

আদালতের নির্দেশনা শুনে কাঠগড়া থেকে নামার সময় জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লা বলেন, “আমরাও পড়াশোনা করেছি। দেশের অনেক সাংবাদিককে এখনো ২০বছর লেখাপড়া করাতে পারবো।”

“বাংলাদেশ হয়েছে বলে অনেকের মাতব্বরি বেড়ে গেছে।”

এর আগে দ্য নিউ এইজকে প্রতিবেদন প্রকাশে সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ বলে, আর না হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ট্রাইব্যুনাল এ নির্দেশনা দেয়ার আগে নিউ এইজ পত্রিকার ট্রাইব্যুনাল প্রতিবেদক উপস্থিত আছেন কিনা জানতে চান বিচারপতি।

অবশ্য ওই প্রতিবেদক তখন আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

এ সময় ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান ওবায়দুল হাসান বলেন, “এ ঘটনার বিচার পক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে শেষ হোক এটা সবাই চায়। তাই কারো এমন কিছু করা ঠিক হবে না যেন এ বিচার পক্রিয়া বিতর্তিত হয়।”

পত্রিকাটি ট্রাইব্যুনাল বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশে সতর্ক না হলে আদালত ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান তিনি।

নির্দেশনা শেষেই আদালত মুলতবি ঘোষণা করা হয়।

নিউ এইজের ব্যাপারে আদালতের নির্দেশনা শুনে কাঠগড়া থেকে নামার সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে মন্তব্য করেন কাদের মোল্লা। এরপর তিনি ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে কানে কানে কথা বলেন।

এদিকে আব্দুল কাদের মোল্লার পক্ষে তার আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক তৃতীয় দিনের মত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।

মুক্তিযুদ্ধকালে মোস্তফা নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর কাদের মোল্লাসহ কয়েকজন জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়। এছাড়া ২০০৮ সালে পল্লবী থানায় আরো একটি মামলা হয় কাদেরের বিরুদ্ধে। এই মামলাতেই ২০১০ সালের ১৩ জুলাই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গেল বছরের ২৮ মে একাত্তরে হত্যা, গণহত্যা, ষড়যন্ত্র, অগ্নি সংযোগ ও লুটপাটের ছয়টি ঘটনায় তার বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ২০ জুন সাক্ষ্য নেয়া শুরু হয়।