দরবার লুট: অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছে আদালত

আনোয়ারায় তালসরা দরবার শরিফের টাকা লুটের মামলায় র‌্যাব-৭ এর সাবেক অধিনায়ক জুলফিকারসহ সাত জনের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছে আদালত।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 August 2012, 05:25 AM
Updated : 28 August 2012, 05:25 AM
চট্টগ্রাম, অগাস্ট ২৮ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- আনোয়ারায় তালসরা দরবার শরিফের টাকা লুটের মামলায় র‌্যাব-৭ এর সাবেক অধিনায়ক জুলফিকারসহ সাত জনের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছে আদালত।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।
জেলা আাদলত পরিদর্শক অনু মং মারমা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন বিচারক। এ ছাড়া এই মামলার পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।”
শুনানিকালে জুলফিকার আলী মজুমদার ও র‌্যাবের অপর সাবেক কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এর বাইরে অভিযোগপত্রভুক্ত তিন আসামি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
গত ২৬ জুলাই আনোয়ারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুস সামাদ সাত জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছিলেন।
অভিযুক্ত সাতজনের মধ্যে চারজন র‌্যাব-৭ এর সাবেক কর্মকর্তা, বাকি তিনজন র‌্যাবের সোর্স।
চাকরিচ্যুত লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুলফিকার আলী মজুমদার ছাড়া অপর ছয় আসামি হলেন- র‌্যাব-৭ এর সাবেক কর্মকর্তা ফ্লাইট লে. শেখ মাহমুদুল হাসান, ডিএডি আবুল বাশার, এসআই তরুণ কুমার বসু, র‌্যাবের তিন সোর্স দিদারুল আলম ওরফে দিদার, আনোয়ার মিয়া ও মানব বড়–য়া।
তদন্তে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় এজাহারভুক্ত ছয় আসামিকে অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ঘটনার সঙ্গে র‌্যাবের সোর্স মানব বড়–য়ার সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি উঠে আসায় তাকে অভিযুক্ত করা হয়।
বার পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে ৪২ জনকে সাক্ষী হিসেবে রাখা হয়েছে।
২০১১ সালের ৪ নভেম্বর আনোয়ারার তালসরা দরবার শরিফে অভিযান চালানোর নামে সেখান থেকে দুই কোটি সাত হাজার টাকা লুটের অভিযোগে গত ১৩ মার্চ র‌্যাবের ১২ সদস্যের নামে একটি মামলা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, জুলফিকার আলী মজুমদারের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি দল তালসরা দরবার শরিফে অভিযান চালিয়ে এতে রাখা আলমারি ভেঙে দুই কোটি সাত হাজার টাকা নিয়ে যায়।
একইদিন দরবার শরিফ থেকে মিয়ানমারের পাঁচ নাগরিককে র‌্যাব সদস্যরা আটক করে। তাদের থানায় হস্তান্তর করা হলেও টাকার বিষয়ে কোনো কিছুই উল্লেখ করেনি তারা।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এমসি/এএল/১৭১৩ ঘ.