বৃহস্পতিবার যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বিলটি উত্থাপন করেন। পরে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
১৯৮৩ সালের অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করতে বিলটি আনা হয়েছে।
প্রস্তাবিত আইনে বলা আছে, বিকেএসপি বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ সদস্য উপস্থিত থাকলে কোরাম হবে। বছরে দুইবার সভা করার বিধান রাখা হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রীর দায়িত্বে যিনি থাকবেন তিনি হবেন বোর্ডের চেয়ারম্যান, ২১ সদস্যের পরিষদ হবে, মনোনীত সদস্যদের মেয়াদ হবে তিন বছর।
অধ্যাদেশে অন্যান্য যেসব বিষয় ছিল সেগুলোকে নতুন আইনে আগের মতই রাখা হয়েছে।
বিলের তফসিলে ৪২টি দেশীয় খেলা তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। সেগুলো হলো- হাডুডু, ডাঙ্গুলি, গোল্লাছুট, সাতচাড়া, মোরগ লড়াই, বৌ-ছি, ইচিং বিচিং, কানামাছি ভোঁ ভোঁ, দাঁড়িয়াবান্ধা, এক্কা-দোক্কা, কুত কুত, রুমাল লুকানো, ওপেন টি বাইস্কোপ, ফুল টুকা, দড়িলাফ, বিস্কুট দৌড়, সুইসুতা দৌড়, তৈলাক্ত বাঁশ, কলাগাছে উঠা, লাঠি খেলা, ঘুড়ি ওড়ানো, বালিশ যুদ্ধ, রশি টানাটানি, ষাঁড়ের লড়ই, গরুর গাড়ির দৌড়, ঘৌড় দৌড়, বস্তা দৌড়, বালিশ বদল, বলি খেলা, লুডু খেলা, পাঞ্জা লড়াই, লাটিম খেলা, গুলতি ছোড়া, ভেলা বাইচ, গুটি খেলা, তীর-ধনুক খেলা, চাকা দৌড়ানো, মার্বেল খেলা, কড়ি খেলা, হাড়ি ভাঙ্গা, হাঁস খেলা, ব্যাঙ দৌড়।
বিলে বলা হয়েছে, বিকেএসপি এসব দেশীয় খেলাধুলার বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে।