শনিবার রাতে রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের রজতজয়ন্তীর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, “যেখানে এখনও ডিজিটাল কেবল যায়নি বা পরিকল্পনা হয়নি সেটা আমার বাড়ি। আমার বাড়িতেই এখন কেবল যাবে না, তখনই আমার মনে হয়েছে, বোধ হয় আমার বাড়িতে কীভাবে কেবল যাবে এটাই আমার জন্য চ্যালেঞ্জ।
“২০১৮ সালের জুন মাসের মধ্যে ৭২২টি ইউনিয়ন ছাড়া সব জায়গায় প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারব। জাস্ট গতকালই একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি।”
মন্ত্রী করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, “আমি কৃতজ্ঞ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে এমন একটি পছন্দের জায়গায়, চ্যালেঞ্জের জায়গায় বসিয়েছেন যেখান থেকে আমার কাজ হচ্ছে, প্রচলিত এনালগ যে ব্যবস্থা আছে সে ব্যবস্থাকে যেন আমি ডিজিটাল করতে পারি।
“সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের জায়গা হচ্ছে, সরকারকে ডিজিটাল করা, শিক্ষাকে ডিজিটাল করা। এই দুই জায়গাতে আমি ৩০ বছর যাবত লড়াই করছি, আজীবন লড়াই করতেই থাকব।”
ডিজিটাল শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, “আমি একেবারে হাওড় থেকে পায়ের মধ্যে মাটি মাখিয়ে ঢাকা শহরে পৌঁছেছিলাম। সেই সূত্র ধরে এখন যে জায়গাটা বিশ্বাস করি, আমার খাদ্যের যোগানের জন্য কৃষির সবচেয়ে বড় ভূমিকা আছে, এই ভূমিকা থাকবেই কারণ পৃথিবীজুড়ে মানুষ খেতেই থাকবে।
“তবে মানুষের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রটি বিশেষ করে আলাদাভাবে বদলে গেছে। এই বদলে যাওয়াটার মানে হচ্ছে, আমরা ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের যুগে বাস করি এবং সেই কারণেই আমাদের ছেলে-মেয়েরা যারা প্রচলিত শিক্ষায় এখন শিক্ষিত হচ্ছে, তাদের কাছে যদি আমরা ডিজিটাল যুগের শিক্ষাটা পৌঁছাতে না পারি তাহলে তাদের ডিজিটাল যুগের উপযোগী করে তুলতে পারব না। আমার দিক থেকে আমি এইটুকু করব।”
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ যদি কোনো কারণে লাগে তবে তার প্রধান কারণ হবে মিষ্টি পানি-মন্তব্য করে ময়মনসিংহ অঞ্চলের হাওড়ের রক্ষণাবেক্ষণে আরও মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান মোস্তাফা জব্বার।
তিনি বলেন, “প্রকৃতিতে মিষ্টি পানির আধার দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে, শুকিয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ এমন একটি অঞ্চল যেখানে বছরের সাত থেকে আট মাস মিষ্টি পানি বিপুল আকারে থাকে। পৃথিবীর অন্যতম বড় মিষ্টি পানির আধার এটি। পুরো হাওড় অঞ্চলটাই বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হতে পারে।”
বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামেরও সভাপতি মোস্তাফা জব্বার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হাসান শেলি।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু এবং বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম উপস্থিত ছিলেন।