অনলাইনে মিলবে ইআইআইএন, অ্যাপে শিক্ষা ডিরেক্টরি

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভিন্ন পরিচিতি নম্বর এখন থেকে অনলাইনে ঘরে বসেই পাওয়া যাবে; শিক্ষা সংক্রান্ত সব মোবাইল ও টেলিফোন নম্বর মিলবে মোবাইল অ্যাপে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Sept 2017, 12:21 PM
Updated : 25 Sept 2017, 12:21 PM

সোমবার বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) মিলনায়তনে শিক্ষা ডিরেক্টরির মোবাইল অ্যাপ এবং অনলাইনে এডুকেশনাল ইনস্টিটিউশন আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার (ইআইআইএন) প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

এ সময় তিনি বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কথা আমরা সরকারের পক্ষ থেকে প্রথম বলেছি, তখন অনেকে এটা নিয়ে হাসাহাসি করত, এখন সেই পরিস্থিতি আর নেই। শুধু বাংলাদেশ নয়, দেশের বাইরেও অনলাইনের মাধ্যমে মানুষের কাছে সেবা পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রম প্রশংসিত হয়েছে।

“এখান এটাকে আরও দ্রুত দক্ষতার সঙ্গে এগিয়ে নিতে হবে। মানুষের জীবনমানের উন্নতি করতে হবে।”

নতুন চালু হওয়া কার্যক্রমে নির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ঘরে বসে অনলাইনে ইআইআইএন পেয়ে যাবে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “এটা কাজটাকে এতো সহজ করে দিয়েছে, যেটা আগে ভাবাই যেত না।”

সরকার তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে ফলাফলসহ বিভিন্ন কার্যক্রম ‘কাগজবিহীন’ করতে সক্ষম হয়েছে বলে মন্তব্য করেন নাহিদ।

অনলাইনে ইআইআইএন পেতে হলে

>> অনলাইন ইআইআইএন আবেদন ফরম পূরণের পূর্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছবি স্ক্যান করুন, ছবির রেজুলেশন সর্বোচ্চ ১০২৪*১০২৪ পিক্সেল এবং জেপিজি ফরমেটে হতে হবে।

>> শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠদানের সম্মতিপত্র, শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক পাঠদানের অনুমতিপত্রের কপি, পরিচালক ব্যানবেইস বরাবর ইআইআইএন এর জন্য আবেদনের কপি আলাদা আলাদা ফাইলে.পিডিএফ ফরমেটে স্ক্যান করতে হবে।

>> ব্যানবেইস জরিপের তথ্য ছক পূরণ করার পর তাতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবং জেলা শিক্ষা অফিসারের প্রতিস্বাক্ষর গ্রহণ করে সম্পূর্ণ ফরম পিডিএফ ফরমেটে ১টি ফাইলে স্ক্যান করতে হবে। ফাইলের সাইজ কোন অবস্থাতেই ৬ মেগাবাইটের বেশী হবে না।

>> প্রতিষ্ঠানটির চারদিকের ৪টি সমজাতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন, প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দূরত্ব ও দিক সংগ্রহ করে অনলাইনে এন্ট্রি করতে হবে।

>> প্রতিষ্ঠানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ সংগ্রহ করে অনলাইনে এন্ট্রি করতে হবে।

>> অনলাইন ইআইআইএন ফরম পূরণ করে আবেদন ও কাগজপত্র সাবমিট করতে হবে।

>> আবেদনের অবস্থা জানতে এবং ইআইআইএন সনদ সংগ্রহ করার জন্য ট্র্যাকিং নম্বর ও পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করতে হবে।

>> এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও ইউআইটিআরসিই-এর সহকারী প্রোগ্রামারের সহযোগিতা পাওয়া যাবে।

মোবাইল অ্যাপ বিষয়ে তিনি বলেন, “শিক্ষা ডিরেক্টরি ছাপিয়ে বের করতাম আমরা। এখন সেটা মোবাইলের মধ্যে পেয়ে যাব। আমি নিজে ডিরেক্টরি দেখে দেশের নানা প্রান্তে যোগাযোগ করতাম। এখন সেই ডিরেক্টরি মোবাইলের মধ্যে চলে আসল। কাজটা আরও সহজ হয়ে যাবে।”

শিক্ষা পরিবারের সদস্যরা নানা প্রান্ত থেকে যোগাযোগ করে এর মাধ্যমে তাদের কার্যক্রমে খোঁজ খবর সহজে করতে পারবেন বলে উল্লেখ করেন শিক্ষামন্ত্রী।

অনলাইন ইআইআইএন কার্যক্রম ও মোবাইল অ্যাপে শিক্ষা ডিরেক্টরি তৈরি করেছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ও আইসিটি ডিভিশন; বাস্তবায়ন করছে ব্যানবেইস।

ব্যানবেইসের সিস্টেম অ্যানালিস্ট আবু তাহের খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এখন থেকে অনলাইনের মাধ্যমেই ইআইআইএন নিতে হবে। অন্যদিকে, বই আকারে শিক্ষা ডিরেক্টরি ছাপা হবে না; মোবাইল নম্বরগুলো সময়ে সময়ে আপডেট করবে ব্যানবেইস।

ব্যানবেইস পরিচালক মো. ফসিহউল্লাহ’র সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর বক্তব্য দেন।

উদ্বোধনের পরে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তের চারটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলে ইআইআইএন প্রদান করেন শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ।