এই নেতারা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-সম্পাদক মো. আরিফুল ইসলাম জিসান ও ফজলুল হক মুসলিম হলের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম রাকিব।
চানখাঁরপুলের ‘বনফুল মিষ্টি ও বেকারী’ নামের ওই দোকানের মালিক আল আমিন কর্মচারীকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে তাকেও মারধর করা হয় বলে তার শ্যালক মো. আলামিন জানিয়েছেন।
তিনি রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন. “কালকে দুপুরে (শনিবার) সিগারেট নিয়ে দোকানে ঢোকেন ওই দুই ছাত্রলীগ নেতা। দোকানটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) হওয়ায় দোকানের ম্যানেজার গিয়াস উদ্দিন তাদের বাইরে গিয়ে ধূমপানের অনুরোধ করে।
“পরে দোকান মালিক আল আমিনকে এক লক্ষ টাকা নিয়ে এসে গিয়াসকে ছাড়িয়ে নেওয়ার কথা বলে ছাত্রলীগনেতা জিসান ও রাকিব। কিন্তু আল আমিন ১৫ হাজার টাকা নিয়ে ম্যানেজারকে ছাড়াতে গেলে তাকে মারধর করে।
“সিগারেটের আগুন দিয়ে তাকে পুড়িয়ে দেয়।আর বলতে থাকে, ‘আমরা কি ফকির যে, ১৫ হাজার টাকা নিয়ে এসেছিস?’ পরে বিষয়টি জানাজানি হলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দুজনকে ছেড়ে দেয় ছাত্রলীগের ওই দুই নেতা।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের হল শাখার সভাপতি শাহরিয়ার সিদ্দিক সিসিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গতকালকে বাইরে ছিলাম। পরে খোঁজ খবর নিয়েছি। আজ দোকান মালিকপক্ষের সঙ্গে বসব, হলের কেউ যদি জড়িত থাকে তাহলে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সুপারিশ করব। আর কোনো ছাত্র করে থাকলে হল প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বলব।”
ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আবিদ আল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ ঘটনার কথা শুনেছি। আজকে দোকান মালিক ও কর্মচারীকে ডেকেছি। এ ঘটনায় কারা জড়িত, তা তাদের কাছে শুনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স বলেন, “ছাত্রলীগে অপরাধীদের কোনো স্থান নেই। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক আমজাদ আলী বলেন, “ঘটনাটি জানতে পেরে রোববার সন্ধ্যার দিকে হল প্রশাসনকে অবহিত করেছি। পরে হল প্রশাসন জানায় যে, দোকানের দু্জনকে আগেই ছেড়ে দিয়েছে, ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া যায়নি।”
তিনি বলেন, “হল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি তদন্ত করে জানাতে বলা হয়েছে। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”