রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানায় বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্মচারী কল্যাণ সমিতি।
বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে হাজারের বেশি সমিতির নেতা ও সদস্য ব্যানার নিয়ে মানববন্ধনে উপস্থিত হন।
এ সময় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, উপদেষ্টা আবুল কালাম, সমিতির ঢাকা বিভাগ কমিটির সভাপতি মুজিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
মানববন্ধনে নেতারা বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৭ হাজার দপ্তরী কাম প্রহরী চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের কোনো পেনশন নেই। তাদেরকে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করতে হয়। বছরে কোনো ছুটিও নেই তাদের।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মচারীরা নিরলসভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন দাবি করেন বক্তারা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দপ্তরী কাম প্রহরী পদটি সরাসরি জাতীয়করণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেবেন বলে তারা প্রত্যাশা করেন।
সমিতির ঢাকা বিভাগ কমিটির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের অনেকের চাকরির বয়স চলে গেছে। ইচ্ছে করলেই অন্য চাকরিতে যাওয়া সম্ভব নয়। আমাদেরকে কোনো উৎসব ভাতা দেওয়া হয় না। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করতে হয়। ২০১৫ সালে নিয়োগ পাওয়া বহু কর্মচারী গত তিনমাস ধরে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না।”
সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের চাকরি জাতীয়করণ করতে হবে। ২৪ ঘণ্টা ডিউটির পরিবর্তে আট ঘণ্টা করতে হবে। সাপ্তাহিক ছুটি দিতে হবে। বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিতদের অবিলম্বে সকল বকেয়া পরিশোধ করতে হবে। সকল উৎসব ভাতা দিতে হবে।”