তিনি রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা কমিটির এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন, “এ বিষয়ে সত্যতা আছে বলে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়নি।”
আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি আমু বলেন, সত্যতা পাননি বলে এই বিষয়টি নিয়ে কমিটির বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি।
প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, চার সপ্তাহ আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বাইরে ধারাবাহিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যার চক্রান্ত করেছিল জেএমবি জঙ্গিরা। বাংলাদেশ ও ভারতের জঙ্গি-সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকর্তারা তা ভেস্তে দেন।
ভারতের গণমাধ্যমে এই খবর আসার পর আলোচনার মধ্যে বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের কারও ভাষ্য পাওয়া গেল।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এই বৈঠকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, নৌমন্ত্রী শাজাহান খান উপস্থিত ছিলেন।
শরণার্থী সঙ্কটের মধ্যে মন্ত্রিসভা কমিটির এই সভায় রোহিঙ্গা এবং আসছে দুর্গা পূজার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও আলোচনা হয়।
ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া তথ্য বা ছবি দেখে বাংলাদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বানও জানান শিল্পমন্ত্রী আমু।
“ইউটিউব একটি সস্তা জিনিস হয়ে গেছে। যার যা খুশি সেখানে প্রচার করে বেড়ায়। ইউটিউবের মাধ্যমে কিছু ভুল তথ্য দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়। এগুলোর দিকে জনগণের দৃষ্টি না দেওয়াই ভালো।”
হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজা সুশৃঙ্খল ও সুষ্ঠুভাবে হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
রোহিঙ্গাদেরকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক উসকানি ছড়ানোর অপচেষ্টার কথা জানিয়ে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বানও জানান আমু।
“আমাদের দেশের বৌদ্ধ সমাজ অত্যন্ত সজাগ ও সচেতন। তারা মিয়ানমানের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এর সাথে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নাই।”
উসকানি দিয়ে কেউ যাতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উপর হামলা চালাতে না পারে, সে দিকে সরকারের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে বলে জানান তিনি।
রোহিঙ্গাদের আনুষ্ঠানিকভাবে শরণার্থী মর্যাদা দেওয়া হবে কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী আমু বলেন, “সে রকম চিন্তা-ভাবনা আপাতত আমাদের নেই। আমরা তাদের সংখ্যাটা হিসেব রাখছি এবং আমরা চাই তারা তাদের স্বস্থানে ফিরে যাক।”