পানি অবকাঠামোয় ব্যাপক বিনিয়োগ করতে হবে: হাসিনা

মানুষের টিকে থাকার জন্য আবশ্যক পানির উৎস নির্দিষ্ট থাকায় টেকসই ও উদ্ভাবনী পানি অবকাঠামোয় ব্যাপকভাবে বিনিয়োগের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রিয়াজুল বাশার নিউ ইয়র্ক থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Sept 2017, 05:19 PM
Updated : 21 Sept 2017, 05:19 PM

নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে বৃহস্পতিবার সকালে পানি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে ‘ওয়াটার এসডিজি’ নিয়ে বৈশ্বিক তহবিল গঠনেরও প্রস্তাব করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা পানিকে মানুষের অধিকার হিসেবে গণ্য করি। পানি মানুষের মর্যাদা নিশ্চিত করে। সবার পানি প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে, এমন একটি বিশ্বের স্বপ্ন দেখি আমরা।”

তিনি বলেন, সবার জন্য নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন নিশ্চিতের ক্ষেত্রে ‘চ্যাম্পিয়ন’ হিসেবে বৈশ্বিক স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ।

“১৬ কোটির বেশি মানুষের এই দেশে প্রায় সবাই নিরাপদ পানি পাচ্ছে। এখন আমাদের লক্ষ্য, ২০২০ নাগাদ সবার নিরাপদ পানি প্রাপ্তি নিশ্চিত করা।”

ভূ-উপরিস্থ পানির টেকসই ব্যবহার বাড়াতে বড় পুকুর, ডোবা ও জলাধার পুনঃখনন এবং সেগুলোকে দূষণ থেকে রক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা তুলে ধরেন তিনি।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং বন্যা, খরা ও ঘূর্ণিঝড়ের মতো পানি সম্পর্কিত দুর্যোগের প্রতি বিশেষ নজর দিয়ে এসব মোকাবেলায় দীর্ঘমেয়াদি কৌশল প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

“পানি নিয়ে গবেষণা, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি হস্তান্তরে সহায়তার জন্য আমাদের ওয়াটার এসডিজি বিষয়ক একটি বৈশ্বিক তহবিল গড়ে তোলও দরকার।”

২০৩০ সাল মেয়াদি জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহে (এসডিজি) যে ১৭টি লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে তার মধ্যে ষষ্ঠটি পানি ও স্যানিটেশন নিয়ে। এসডিজি-৬ এ সবার জন্য স্যানিটেশন ও পানির সহজলভ্যতা এবং এর টেকসই ব্যবস্থাপনার কথা বলা হয়েছে।

নিরাপদ পানীয় জল ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থায় সবার অন্তর্ভুক্তির সুযোগ সম্প্রসারণ, পানি পরিশোধন, দূষিত পানি ব্যবস্থাপনা, পানির অপ্রতুলতা ও কার্যকর ব্যবহার, পানির উৎসসমূহের সমন্বিত ব্যবস্থাপনা, জলজ বাস্তুসংস্থানের সুরক্ষার কথা বলা হয়েছে এতে।

পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনায় কমিউনিটিভিত্তিক অংশগ্রহণ, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার কথাও বলা হয়েছে।